বাংলাদেশের জন্য অ্যান্টিগা টেস্টের শুরুটা হয়েছে যাচ্ছেতাই। ব্যাটারদের হতশ্রী পারফরম্যান্সে টেনেটুনে ১০০ পার করেছে সাকিব আল হাসানের দল। দিন শেষে ৮ রানে বাংলাদেশ এগিয়ে থাকলেও দিনটি আসলে ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই। দ্বিতীয় দিনে লিড বড় করার যথেষ্ট রশদ হিসেবে ৮টি উইকেট এখনো অক্ষত আছে স্বাগতিকদের।
দলের এমন পারফরম্যান্সের পরও সাকিব জানিয়েছেন এখান থেকেই ঘুরে দাঁড়াতে চায় তাঁর দল। কিন্তু অধিনায়ক হিসেবে এ সময় তাঁর মানসিক অবস্থা কেমন থাকে? ব্যাটারদের এমন ভরাডুবিতে নিজেকে অসহায় মনে হয় কী না, এমন প্রশ্নে সাকিবের সরল উত্তর, ‘এত অসহায়ত্ব নিয়ে আমি আসলে চলাফেরা করি না। জীবনে অনেক সময় পার করেছি এই ক্রিকেটের পেছনে। এখন আর তাই এগুলো নিয়ে এত ভাবার সময় নাই।’
প্রায় দেড় দশকের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে যথেষ্ট পরিণতবোধ এসেছে সাকিবের মধ্যে। তিনি ভালোমতোই জানেন দলে তাঁর ভূমিকাটা কী, ‘মাঠে চেষ্টা করা দরকার। সবাইকে অনুপ্রাণিত করার কাজ আমার, সেটা আমি আমার জায়গা থেকে যথেষ্ট চেষ্টা করি। যদিও এটা একটা দলগত খেলা, সবাইকে নিয়েই কিন্তু একটা দল হয়। সবাই আলাদা আলাদা হলে সেটা তো আর দল হবে না। এই সবকিছু মিলিয়ে সেদিক থেকে আমার হতাশ হওয়ার খুব একটা কারণ নেই। একই সঙ্গে আমি জিতে গেলেও খুব একটা রোমাঞ্চিত হব না।’