মেহেদী হাসান মিরাজের উচ্ছ্বাসটা অবশ্য সেভাবে করলেন না। হয়তো কাজটা এখনো বাকি রয়ে গেছে ভেবেই! কোনোরকমে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে প্রান্ত বদল করেই সেঞ্চুরি পূর্ণ করলেন। এরপর একহাতে ব্যাট নিয়ে দুহাত প্রসারিত করে যেন স্বস্তির নিশ্বাস ফেললেন।
আজকের আগে একবারই ওপেনারের ভূমিকায় খেলেছেন মিরাজ। ৫৯ বলে সেই ম্যাচে ৩২ রান করেছিলেন তিনি। দ্বিতীয়বার সুযোগ পেয়ে ওপেনিংয়ে নিজের প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করলেন, হাফ সেঞ্চুরিকে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারে রুপান্তরও করে ফেললেন একই ম্যাচে।
মিরাজের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি এটি। প্রথমটির পর দ্বিতীয়টি আসতে খুব বেশি সময় লাগল না। বছরের শুরুতে ভারতের বিপক্ষে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি করেছিলেন। সেটা অবশ্য লোয়ার মিডল অর্ডারে নেমে।
আজ মিরাজের দায়িত্ব ছিল ভিন্ন। নাঈম শেখের সঙ্গে ইনিংস উদ্বোধন করেছেন। ম্যাচটাও বাংলাদেশের জন্য টুর্নামেন্টে টিকে থাকার। পাহাড়সম চাপ সরিয়ে মিরাজ খেললেন দুর্দান্ত এক ইনিংস। এই ইনিংসটা এসেছেও কঠিন পথ পেরিয়ে। ইনিংসের মাঝামাঝি সময়ে সঙ্গী নাজমুল হোসেন শান্ত যখন কিছুটা ক্র্যাম্প করলেন, তখন মিরাজই তাঁকে উদ্বুদ্ধ করেছেন এই বলে, ‘আমার কষ্ট হচ্ছে, তবু আমি খেলতেছি সময় নিয়ে।’
শেষ পর্যন্ত মিরাজ মাঠ ছেড়েছেন রিটায়ার্ট হার্ট হয়েই। তার আগে খেলে গেছেন ১১৯ বলে ১১২ রানের অসাধারণ এক ইনিংস। ৭ চার আর ২ ছয়ে সাজানো ইনিংস শুধুই অসাধারণ ইনিংস নয়, তাতে মিশে রইল তাঁর অদম্য সাহস, আত্মবিশ্বাস আর অনেক প্রশ্নের উত্তর। বন্ধু শান্তর সঙ্গে মিরাজ গড়লেন ১৯৪ রানের কাব্যিক এক জুটি।