তৃতীয় দিনেই জয় তুলে নিয়েছিল রাজশাহী। ড্রয়ের পথে ছিল বাকি তিন ম্যাচ। হয়েছেও তাই। ম্যাচের ফল একরকম নিশ্চিত থাকায় সবার নজর ছিল ব্যক্তিগত পারফরম্যান্সের দিকে। এদিক থেকে দিনটা ভালোই গেছে মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ সালমান হোসেন ইমনের। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন দুজনই। বিপরীতে সেঞ্চুরি না পাওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মাঠ ছেড়েছেন জিসান আলম।
সিলেট একাডেমি গ্রাউন্ডে তৃতীয় দিন শেষে ৯৩ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। আজ দিনের শুরুতে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগারের ঘরে পৌঁছে যান এই উইকেটরক্ষক ব্যাটার। তাইবুর রহমানের বলে বোল্ড হওয়ার আগে খেলেন ১১৫ রানের ইনিংস। ৪৩ রান করেন জাকির হাসান। ঢাকার করা ৩১০ রানের জবাবে ২৯০ রানে থামে সিলেট।
২০ রানে এগিয়ে থাকা ঢাকা তাদের দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করেছে ২২২ রানে। সেঞ্চুরির পথেই ছিলেন জিসান। ব্যক্তিগত ৯৪ রানে নাবিল সামাদের বলে এলবিডবলিউ হন এ তরুণ ব্যাটার। আশিকুর রহমান শিবলীর অবদান ৫৯ রান। সিলেট ফের ব্যাট করতে নেমে ১৩ রান করতেই ম্যাচ ড্র হয়।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের করা ৩৫৮ রানের জবাবে ২৫৯ রানে ইনিংস ঘোষণা করে বরিশাল। সেঞ্চুরি করে ১২০ রানে অপরাজিত থাকেন সালমান। জাহিদুজ্জামান খানের অবদান ৪৩ রান। ৯৯ রানে এগিয়ে থাকা চট্টগ্রাম কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩৫ রানে দ্বিতীয় ইনিংস ঘোষণা করে। ব্যাট করতে নেমে ম্যাচ ড্র হওয়ার আগপর্যন্ত ১৯ রান তুলেছিল বরিশাল।
রংপুরের ভাগ্য ভালো বলতে হয়। ফলোঅনে পড়েও ম্যাচ হারতে হয়নি তাদের। মূলত বৃষ্টির কারণেই বেঁচে গেছে আকবর আলীর দল। ময়মনসিংহের করা ৫৫৫ রানের জবাবে মাত্র ১২৭ রানে গুটিয়ে যায় তাঁদের ইনিংস। ফলোঅনে পড়ে আবার ব্যাট করতে নেমে ১১২ রানে ২ উইকেট হারায় রংপুর। ৬৯ রানে অপরাজিত থাকেন আব্দুল্লাহ আল মামুন।