প্রথম দুই ম্যাচ জিতে আগেই হয়েছে সিরিজ নিশ্চিত। বাংলাদেশের সামনে তাই আজ লক্ষ্য ছিল ধবলধোলাইয়ের স্বাদ নেওয়ার। বোলাররা আগের মতোই ছিলেন ধারাবাহিক। তবু শেষ দিকে রান বিলিয়ে দেওয়ার অস্বস্তি আর কাটল না।
শারজায় তৃতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ১৪৪ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দিয়েছে আফগানিস্তান। ব্যাটিংয়ে নেমে ৯ উইকেটে ১৪৩ রানের বেশি করতে পারেনি তারা। টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলাদেশ অধিনায়ক জাকের আলী। একাদশে আসে একটি পরিবর্তন। মোস্তাফিজুর রহমানের জায়গায় খেলেন তানজিম হাসান সাকিব।
প্রথম দুই ওভারে ভালো শুরুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন দুই আফগান ওপেনার ইব্রাহিম জাদরান ও রহমানউল্লাহ গুরবাজ। সেই জুটি আর বড় হতে দেননি শরীফুল ইসলাম। তৃতীয় ওভারে ইব্রাহিমকে (৭) ফিরিয়ে ব্রেকথ্রু এনে দেন বাঁহাতি এই পেসার।
পরের ওভারে গুরবাজকেও (১২) তুলে নেন নাসুম আহমেদ। পাওয়ারপ্লের শেষ বলে তৃতীয় আঘাত হানেন সাইফউদ্দিন। তাঁর ফুল টস ডেলিভারি উড়িয়ে মারতে গিয়ে উল্টো বোল্ড হন ওয়াফিউল্লাহ তারাখিল (১১)। ফলে পাওয়ারপ্লের ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি আফগানরা।
পরের উইকেটের জন্য অবশ্য খানিকটা অপেক্ষা করতে হয় বাংলাদেশের। সেদিকউল্লাহ আতাল ও দারউইশ রাসুলি থিতু হয়ে ছুটছিলেন বড় জুটি গড়ার উদ্দেশ্যে। পাওয়ারপ্লের পর ১১তম ওভারে আক্রমণে আসা সাইফউদ্দিন প্রথম বলেই ভাঙেন ৩৪ রানের এই জুটি। আতালকে ফিরিয়ে জাগিয়ে তোলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। ২৩ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ২৮ রান করেন আতাল।
সাইফউদ্দিন আর হ্যাটট্রিকের দেখা পাননি বটে, কিন্ত এরপর শুরু হয় আফগানদের ব্যাটিং ধস। ২৫ রানের ব্যবধানে হারিয়ে ফেলে ৫ উইকেট। রিশাদ হোসেনকে ছক্কা মারার আপ্রাণ চেষ্টা ছিল আজমতউল্লাহ ওমরজাইয়ের (৩)। স্লগ সুইপ খেলতে গিয়ে তাঁর ব্যাটের কোণায় লাগে বল। নুরুল হাসান সোহানের জন্য সহজ ক্যাচটি নিতে কোনো অসুবিধা হয়নি।
মোহাম্মদ নবিকেও সুযোগ দেওয়া হয়নি। নাসুম আহমেদকে ফ্রন্ট ফুটে খেলতে গিয়ে হারিয়ে ফেলেন নিজের স্টাম্প। অধিনায়ক রশিদ খান এসেই থাকেন আক্রমণাত্মক। সেটাই বিপদ ডেকে আনে তাঁর। ৭ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় ১২ রানে তানজিম হাসান সাকিবের শিকার হন তিনি। ১৫তম ওভারের পরের বলে আবদুল্লাহ আহমাদজাইকে ফিরিয়ে তানজিম জাগিয়ে তোলেন হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা। সাইফউদ্দিনের মতো ব্যর্থ হন তিনিও।
১০০ পেরোনোও যেখানে মুশকিল মনে হচ্ছিল, সেখানে আফগানরা ১৪০ পেরোয় রাসুলি ও মুজিব উর রহমানের ব্যাটে চড়ে। নবম উইকেটে ৩৪ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। ২৯ বেল ২ চার ও ১ ছক্কায় রাসুলি ৩২ রানে ফিরলেও মুজিব থাকেন অপরাজিত। ১৮ বলে ৪ চারে ২৩ রান করেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন সাইফউদ্দিন। ৩ ওভারে মাত্র ১৫ রান খরচ করেন তিনি। তানজিম ও নাসুমের শিকার দুটি করে উইকেট। দুজনেই ৪ ওভারে দেন সমান ২৪ রান। এ ছাড়া একটি করে উইকেট শরীফুল ও রিশাদের।