নিগার সুলতানা জ্যোতির বলটা যখন বাতাসে ভেসে ছিল, মনে হচ্ছিল সেটা ছক্কা হয়ে যাবে। কিন্তু না। লংঅফে নিলাক্ষী সিলভা ক্যাচ ধরতেই শেষ বাংলাদেশের সেমিফাইনালে টিকে থাকার স্বপ্ন। জ্যোতির লড়াকু ৭৭ রানের ইনিংসের পরও বাংলাদেশ ৭ রানে হেরেছে শ্রীলঙ্কার কাছে।
মুম্বাইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আজ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা যে দলই হারত, বাদ পড়ত সেমির দৌড় থেকে। জিতলেও থাকত নানা সমীকরণ।এখন আর কোনো সমীকরণ নেই বাংলাদেশের সামনে। ২৬ অক্টোবর ভারতের বিপক্ষে ম্যাচটা বাংলাদেশ খেলতে নামবে শুধু আনুষ্ঠানিকতা রক্ষার জন্য।
২০৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশের। ৪৪ রানের মধ্যে ফিরে যান রুবাইয়া হায়দার (০), ফারজানা হক (৭) ও সোবহানা মোস্তারি (৮)। এরপর শারমিন আক্তার সুপ্তা ও জ্যোতি প্রতিরোধ গড়ে তোলেন। চতুর্থ উইকেটে ১২০ বলে ৮২ রানের জুটি গড়েন তাঁরা। এই জুটি গড়ার পথেই দুঃসংবাদ পায় বাংলাদেশ। ৩৬তম ওভারের তৃতীয় বলে সুগন্দিকা কুমারির বলে সিঙ্গেল নিয়েছেন জ্যোতি। তখনই চোটে পড়ে মাঠ ছাড়েন সুপ্তা। ১০২ বলে ৪ চার ও ১ ছয়ে ৬৪ রান করেন এই টপ অর্ডার ব্যাটার।
সুপ্তা মাঠ ছাড়ার পর ব্যাটিংয়ে নামেন স্বর্ণা আক্তার। চতুর্থ উইকেটে জ্যোতি ও স্বর্ণা গড়েন ৫৮ বলে ৫০ রানের জুটি। ৪৬তম ওভারের প্রথম বলে স্বর্ণাকে (১৯) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন চামারি আতাপাত্তু। লঙ্কান উইকেটরক্ষক আনুষ্কা সঞ্জীবনী ক্যাচ ধরতেই আম্পায়ার আঙুল তুলে দিয়েছেন। শেষ ২৯ বলে ২৭ রানের সমীকরণ মেলানোর যখন কাছাকাছি এসে পৌঁছায় বাংলাদেশ, তখন ফের ধাক্কা খায়। ৪৯তম ওভারের চতুর্থ বলে রিতু মনিকে (৭) বোল্ড করেন সুগন্দিকা।
সব রোমাঞ্চ যেন জমা ছিল শেষের জন্যই। লঙ্কান অধিনায়ক চামারি আতাপাত্তু শেষ ওভারেই শেষ করে দিলেন বাংলাদেশ। শেষ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ নিতে পেরেছে কেবল এক রান। যার মধ্যে নাহিদা আক্তার হয়েছেন রানআউট।
এর আগে মুম্বাইয়ের ডি ওয়াই পাতিল স্টেডিয়ামে আগে ব্যাটিং করে ২০২ রান তুলেছে শ্রীলঙ্কা। তিন নম্বরে নেমে ৯৯ বলে ১৩ চার ও ১ ছক্কায় হাসিনি পেরেরা ইনিংস সর্বোচ্চ ৮৫ রান করেছেন। লঙ্কান অধিনায়ক ৪৩ বলে ৬টি চার ও ২টি ছয়ে করেছেন ৪৬ রান। এর বাইরে রানের দুই অঙ্ক ছুঁয়েছেন আর একজনই তিনি নিলাশিকা সিলভা (৩৩)। বোলিংয়ে স্বর্ণা আক্তার ১০ ওভারে ২৭ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট নিয়েছেন রাবেয়া খান।