বাংলাদেশের ম্যাচে এখন রোমাঞ্চকর সমাপ্তি হয়ে গেছে নিয়মিত চিত্র। ভক্ত-সমর্থকদের যখনই মনে হয় ম্যাচটা জাকের আলী অনিক-পারভেজ হোসেন ইমনরা সহজে জিতবেন, তখনই ম্যাচের ভোল পাল্টাতে শুরু করে। শারজায় গত রাতে বাংলাদেশ-আফগানিস্তান প্রথম টি-টোয়েন্টিতে হয়েছে এমন ঘটনা।
১৫২ রানের লক্ষ্যে নেমে ১১.৩ ওভারে বিনা উইকেটে ১০৯ রান করেছিল বাংলাদেশ। হঠাৎ ধসে তাদের স্কোর হয়ে যায় ১৫.৪ ওভারে ৬ উইকেটে ১১৮ রান। যেখানে আফগানিস্তানের অধিনায়ক রশিদ খান ৪ ওভারে ১৮ রানে নিয়েছেন ৪ উইকেট। সাইফ (০), তানজিদ হাসান তামিম (৫১), জাকের (৬), শামীম হোসেন পাটোয়ারী (০)-এই চার ব্যাটারের উইকেট নিয়েছেন রশিদ। শেষ পর্যন্ত জাকেরের নেতৃত্বাধীন বাংলাদেশ ম্যাচটা জিতেছে ৮ বল হাতে রেখে ৪ উইকেটে। ম্যাচটা রোমাঞ্চকর হলেও রশিদ খানের মতে স্কোর বোর্ডে পর্যাপ্ত রান জমা করতে পারেনি। মোহাম্মদ নবির শেষের দিকে ঝোড়ো ইনিংসের (২৫ বলে ৩৮) কারণে স্কোর ১৫০ ছাড়িয়েছে ঠিকই। কিন্তু টপ অর্ডার ব্যাটাররা আশানুরূপ ইনিংস খেলতে পারেননি। রহমানউল্লাহ গুরবাজ ৪০ রান করলেও খেলেছেন ৩১ বল।
হারের পর ব্যাটারদের দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন রশিদ খান। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আফগান অধিনায়ক বলেন, ‘আমার মতে আরও ভালো কিছু হতে পারত। টি-টোয়েন্টিতে আপনি মোমেন্টাম একবার হারালে সেটা ফিরে পাওয়া কঠিন। আমার মতে, ১৭০-১৮০ সহজে হতে পারত। বাজে শট খেলে এশিয়া কাপে আমাদের ভুগিয়েছে। এটা স্কিলের সমস্যা নয়। এটা ম্যাচের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার ব্যাপার। পুরো এশিয়া কাপে আমরা উইকেট বিলিয়ে দিয়ে এসেছি। এখানেও সেটা করেছি।’
ভারত-শ্রীলঙ্কায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে হবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসির এই ইভেন্টের আগে পাঁচ মাসও বাকি নেই। হাতে যে সময় আছে, সেই সময়ের মধ্যে নিজেদের ভুল-ভ্রান্তি শুধরে ফেলতে হবে বলে মনে করেন রশিদ খান। বাংলাদেশের কাছে ৪ উইকেটে হারের পর পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে আফগান অধিনায়ক বলেন, ‘আমরা এখান থেকে শিখে উন্নতির চেষ্টা করছি। কারণ, আমাদের প্রধান লক্ষ্য টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য নিজেদের প্রস্তুত করা। ব্যাটারদের উচিত তাদের স্বাভাবিক খেলার দিকে মনোযোগ দেওয়া। সময় নিয়ে খেলা উচিত। একই সঙ্গে এটাও দেখতে হবে, চাপের মুহূর্তে বাজে শট খেলা যাবে না।’
৪ উইকেটে জিতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আজই মুখোমুখি হবে দুই দল। বাংলাদেশ-আফগানিস্তান সিরিজের তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হবে পরশু। শেষ দুই টি-টোয়েন্টিও হবে শারজায়।