ঠিক প্রথম ওয়ানডের উইকেটেই হচ্ছে আজকের ম্যাচে। না এবার আর দেখেশুনে কিংবা হাঁসফাঁস নয়, বরং বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। স্পিন উইকেটে কীভাবে সাবলীল ছন্দে খেলতে হয় সেই রহস্য যেন বের করে ফেলেছেন তাঁরা। তাই তো উদ্বোধনী জুটিতে ৪৫ ইনিংস ও ৯৪৫ দিন পর বাংলাদেশ পেল শতরানের দেখা।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ এদিনও নামে ৪ স্বীকৃত স্পিনার নিয়ে। তাঁদের ওপর শুরু থেকেই চড়াও হতে শুরু করেন সৌম্য-সাইফ। সুইপ-রিভার্স সুইপের পশরা সাজিয়ে সৌম্য তুলে নেন তাঁর ১৪ তম ফিফটি। আর সাইফ যেন টি-টোয়েন্টির ফর্মই টেনে আনলেন। পেয়েছেন প্রথম ফিফটির দেখাও। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তৃতীয় ওয়ানডেতে আগে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৮ ওভারে বিনা উইকেটে ১২৩ রান করেছে বাংলাদেশ। সৌম্য ৬৬ ও সাইফ ৫৪ রানে ব্যাট করছেন। জুটিতে তিন অঙ্কের স্বাদ আসে ১৬তম ওভারে সাইফের হাত ধরে। গুদাকেশ মোতির তৃতীয় বলে লং অফ দিয়ে ছক্কা মেরে দলের সংগ্রহ ১০০ পার করান তিনি।
ওয়ানডেতে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশ সর্বশেষ শতরানের দেখা পেয়েছিল ২০২৩ সালের মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে। সিলেটে সেদিন ১০২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে তোলেন লিটন দাস ও তামিম ইকবাল।
মিরপুরে অপেক্ষাটা আরও বেশি ছিল। ২০১৫ সালে এখানে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৪৭ রানের জুটি গড়েন তামিম ইকবাল ও ইমরুল কায়েস। প্রায় ১০ বছর ও ২৮ ইনিংস পর সেই খরা কাটালেন সাইফ-সৌম্য।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অবশ্য এটি দ্বিতীয় শতরানের উদ্বোধনী জুটি। ২০১৯ সালে ডাবলিনে ১৪৪ রানের জুটি গড়েন তামিম ও সৌম্য।