ভুলে যাওয়ার মতো একটা বিশ্বকাপ কাটিয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম রাউন্ডে দুই ম্যাচ জিতলেও সুপার টুয়েলভে পাঁচ ম্যাচের পাঁচটিতেই হেরেছেন সাকিব আল হাসান-মাহমুদউল্লাহ রিয়াদরা। হতাশার বিশ্বকাপে সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সটাই যা একটু মনে রাখার মতো। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে দিনেশ কার্তিকের বিশ্বকাপ একাদশে জায়গা পেয়েছেন এই বাংলাদেশ অলরাউন্ডার।
সেমিফাইনালের দুই ম্যাচ আর ফাইনাল মিলিয়ে বিশ্বকাপের এখনো বাকি তিন ম্যাচ। গতকাল ভারত-নামিবিয়া ম্যাচ দিয়ে শেষ হয়েছে সুপার টুয়েলভ পর্ব। প্রথম রাউন্ডের তিন ম্যাচ আর সুপার টুয়েলভের পাঁচ ম্যাচ মিলিয়ে মোট আট ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। প্রথম রাউন্ডে ওমান আর পাপুয়া নিউগিনির বিপক্ষে বাংলাদেশের দুই জয়ের ম্যাচে আলো ছড়ান সাকিব। দুই ম্যাচে ম্যাচ সেরাও হন তিনি।
সুপার টুয়েলভে বাংলাদেশের হতশ্রী পারফরম্যান্সের সঙ্গে যোগ হয়েছিল সাকিবের চোট। চোটে পড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা আর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে শেষ দুই ম্যাচ খেলা হয়নি সাকিবের। বিশ্বকাপে ছয় ম্যাচে ২১.৮৩ গড়ে করেছেন ১৩২ রান তিনি। ব্যাটিংয়ের চেয়ে বোলিংয়ে অবশ্য আরও উজ্জ্বল ছিলেন। এখন পর্যন্ত সেরা উইকেট সংগ্রাহকের তালিকায় আছেন চার নম্বরে। ছয় ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন সাকিব।
এমন অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে সাকিবকে নিজের বিশ্বকাপ একাদশে রেখেছেন কার্তিক। ওপেনিংয়ে বাবর আজমের সঙ্গে জস বাটলার। কার্তিকের একাদশে তিনে আছেন শ্রীলঙ্কান ব্যাটার চারিথ আসালঙ্কা। চারে দক্ষিণ আফ্রিকান ব্যাটার রাসি ফন ডার দুসেনের পর পাঁচে আছেন সাকিব। তিন পেসার জাসপ্রিত বুমরা, ট্রেন্ট বোল্ট আর শাহিন শাহ আফ্রিদির সঙ্গে একাদশে আছেন দুই লেগ স্পিনার ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা-অ্যাডাম জাম্পা। অলরাউন্ডার হিসেবে সাকিবের সঙ্গে আছেন মঈন আলী।