শেষ ওভারের তৃতীয় বলে স্ট্রাইক পান মুশফিকুর রহিম। তখনো মুশফিক সেঞ্চুরি থেকে ৯ রান দূরত্বে দাঁড়িয়ে। এরপর ২, ৪, ২ ও ১—মুশফিকের ওয়ানডে ক্যারিয়ারের নবম এবং সবচেয়ে স্বস্তি ফেরানো সেঞ্চুরি বোধ হয় এটিই।
উদ্যাপনও হলো তাঁর খ্যাপাটে। আকাশের দিকে তাকিয়ে গর্জন। তারপর ব্যাট-হেলমেট রেখে। মুশফিকের এই সেঞ্চুরির মাহাত্ম্য শুধু এতটুকুতে শেষ হচ্ছে না। ৬০ বলের সেঞ্চুরিটি বাংলাদেশের সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি।
এই কীর্তিতে মুশফিক পেছেন ফেলেছেন সাকিব আল হাসানকে। ২০০৯ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৬৩ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন সাকিব। এত দিন এটাই হয়ে ছিল ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরি। বাংলাদেশের সেরা চারটি দ্রুততম সেঞ্চুরি ভাগাভাগি করেছেন এই দুজন।
প্রথম ওয়ানডেতে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। এর আগে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চট্টগ্রামে শেষ ওয়ানডেতে ৭০ রান করেছিলেন। তবে রানের সঙ্গে বেশ কিছুদিন খুব একটা সখ্য হচ্ছিল না মুশফিকের। চারদিক থেকে প্রশ্নও উঠতে শুরু করেছে। উদ্যাপনে স্বস্তির সঙ্গে তাই মুশফিকের আগ্রাসনও বেরিয়ে আসে।
মুশফিকের সর্বশেষ ওয়ানডে সেঞ্চুরি ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০২১ সালের মেতে। ১৭ ম্যাচ পর তিন অঙ্কের দেখা পেলেন। ১৪ চার আর ২ ছক্কায় ইনিংসটি সাজিয়েছেন মুশফিক। প্রথম ফিফটি করতে মুশফিকের লাগে ৩০ বল, সেঞ্চুরি পূর্ণ করতেও বলের সংখ্যাটা সমান।
ওয়ানডেতে বাংলাদেশের দ্রুততম সেঞ্চুরি রেকর্ড
বল ব্যাটার প্রতিপক্ষ মাঠ সাল
৬০ মুশফিকুর রহিম আয়ারল্যান্ড সিলেট ২০২৩
৬৩ সাকিব আল হাসান জিম্বাবুয়ে বুলাওয়ে ২০০৯
৬৮ সাকিব আল হাসান জিম্বাবুয়ে মিরপুর ২০০৯
৬৯ মুশফিকুর রহিম পাকিস্তান মিরপুর ২০১৫