তাইজুল ইসলামের করা দিনের শেষ ডেলিভারি জর্ডান নিলের প্যাডে লাগতেই জোরালো আবেদন হয়। আবেদনে সাড়া দিয়ে আঙুল তোলেন আম্পায়ার। দিনের শেষ বল বলেই বোধহয় বাংলাদেশ শিবিরে উদ্যাপনটা একটু বেশিই ছিল। সে উদ্যাপনের রেশ নিয়েই সিলেট টেস্টের প্রথম দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে হাজির হন হাসান মাহমুদ।
প্রথম দিন শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ২৭০ রান। খুব বড় না হলেও এই পুঁজিকে ছোট বলার সুযোগও নেই। হাতে থাকা ২ উইকেট নিয়ে ৩০০ পার করার সুযোগ আছে সফরকারীদের সামনে। কাল কী হয় আগেই সেটা নিয়ে ভাবতে চান না হাসান। আপাতত নিজেদের প্রথম দিনের বোলিং নিয়ে সন্তুষ্টির কথাই শোনালেন এই ডানহাতি পেসার।
টস জেতা আয়ারল্যান্ড শিবিরে প্রথম ওভারেই আঘাত হানেন নাহিদ রানা। অতিথিদের অধিনায়ক অ্যান্ড্রু বলবার্নিকে ফেরান তিনি। স্কোরবোর্ডে তখন কোনো রান উঠেনি। এমন দারুণ শুরুর পর দিনটা পুরোপুরি নিজেদের করে নিতে পারতো বাংলাদেশ। কিন্তু স্বাগতিকদের বাজে ফিল্ডিংয়ের কারণেই ৩০০ রানের কাছে আছে আইরিশরা। এদিন পাঁচটি ক্যাচ ছেড়ে দেয় বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। টেস্টের মতো সংস্করণে যেটা মেনে নেওয়া একটু বেশিই কঠিন। বোলারদের প্রশংসা করে ফিল্ডারদের ব্যর্থতা ঢেকে দিলেন হাসান।
তিনি বলেন, ‘উইকেটটা খুবই ভালো ব্যাটিংয়ের জন্য। আর যদি আমরা বোলিংয়ের কথা বলি, আমরা অনেক ডিসিপ্লিনড বোলিং করেছি। ইকোনমি মানে বোলিং রান রেট এখনও তিনের নিচে আছে। আমার মনে হয় খুব ভালো আজকের দিনটা আমরা শেষ করেছি।’
দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই আয়ারল্যান্ডকে অলআউট করতে চায় বাংলাদেশ। হাসান বলেন, ‘আমরা খুবই ভালো অবস্থায় আছি। শুধু কাল সকালকেলা দ্রুত ওদের উইকেট নিতে হবে। ওদের ব্যাটিং অর্ডার হিসেবে রান খুব বেশি না। আশা করি আমরা এটা চেজ করে আবার ভালো একটা কামব্যাক করব।’
প্রথম দিন ৮ উইকেটের মধ্যেই পাঁচটাই নিয়েছেন মেহেদি হাসান মিরজা ও হাসান মুরাদ। তাই এই ম্যাচ জিততে স্পিনারদের দিকে তাকিয়ে হাসান, ‘আমি বলব যে স্পিনারদের জন্য ভালো সুযোগ। যতদিন যাবে উইকেটটা আরও একটু ঘুরবে বা আরও একটু টার্ন হবে। তো বোলাররা যদি কনসিস্টেন্ট থাকে তাদের লাইন অ্যান্ড লেংথে, আমার মনে হয় যে স্পিনাররাই দিন শেষে ম্যাচ জেতাবে আমাদের।’