ফুটবলে কোচই সর্বেসর্বা। ক্রিকেট সেখানে ‘ক্যাপ্টেনস গেম’। পুরোপুরি ফুটবলের মতো না হলেও আধুনিক ক্রিকেটে কোচদের প্রভাব কিংবা ভূমিকা দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট বদলে দিয়েছে সনাতন কোচিং ধারাটাই। এ কারণে ফুটবলের মতো ক্রিকেটেও এখন কোচদের কদর আর পারিশ্রমিক বাড়ছে।
ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে টাকার ঝনঝনানিতে এখন প্রচুর নামডাক থাকা উঁচু মানের কোচকে জাতীয় দলের জন্য পাওয়াও কঠিন হয়ে যায় ক্রিকেট বোর্ডগুলোর। একটা ফ্র্যাঞ্চাইজি দলকে দুই মাস সময় দিয়ে যেখানে কোটি কোটি টাকা আয় করা যায়, একটি জাতীয় দলে সারা বছর কাজ করেও সে পরিমাণ অর্থ মেলে না।
স্বাভাবিকভাবেই জাতীয় দলের কোচ নিয়োগে ক্রিকেট বোর্ডের দৃষ্টিভঙ্গিও বদলে যাচ্ছে। উঁচু মানের কোচ পেতে তারাও বড় অঙ্কের পারিশ্রমিক দিতে সংকোচ করছে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) কথায় ধরুন। বিদেশি কোচদের পেছনে ২০১৯-২০ অর্থবছরে বিসিবি ব্যয় করেছে ৮ কোটি ২ লাখ টাকা। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সেটি ছিল ৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা।
কোচদের পারিশ্রমিকের পরিসংখ্যানে ক্রিকেট বিশ্বে ডমিঙ্গোর অবস্থান ছয়ে। কদিন আগে ভারতীয় সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন অন্তত তা-ই বলছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ সামনে রেখে বেতনের নিরিখে বিশ্বের শীর্ষ আট কোচের তালিকা প্রকাশ করেছে তারা। অনুমিতভাবেই কোচদের পারিশ্রমিকের তালিকায় শীর্ষ তিনে রয়েছেন ভারতের রবি শাস্ত্রী, অস্ট্রেলিয়ার জাস্টিন ল্যাঙ্গার ও ইংল্যান্ডের ক্রিস সিলভারউড। বেতনে অবশ্য শাস্ত্রীর ধারেকাছেও নেই ল্যাঙ্গার-সিলভারউড।