তৃতীয় দিনেই জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করেছিল খুলনা। শেষদিনে এসে জয়ের পথটা কঠিন করে ফেলে রূপসা পাড়ের দলটি। তবে শেখ মেহেদি হাসানের ব্যাটিং দৃঢ়তায় শেষ পর্যন্ত অঘটনের সাক্ষী হতে হয়নি তাদের। জাতীয় ক্রিকেট লিগের তৃতীয় রাউন্ডে চট্টগ্রামের বিপক্ষে ২ উইকেটে স্বস্তির জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। রাজশাহীকে ৫৪ রানে হারিয়েছে বরিশাল। বাকি দুটি ম্যাচ ড্র হয়েছে।
বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে চট্টগ্রামের দেওয়া ২৩৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে তৃতীয় দিন শেষে বিনা উইকেটে ৫২ রান করেছিল খুলনা। জয়ের জন্য শেষদিনে ১৮৫ রান দরকার ছিল তাদের। সৌম্য ৩৪ ও অমিত মজুমদার ১০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামেন। আগের দিনের থেকে আর মাত্র ১১ রান যোগ করে অমিত মাঠ ছাড়লে ভাঙে ৮৫ রানের উদ্বোধনী জুটি।
এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ১৬৯ রানে ৭ উইকেটের দলে পরিণত হয় খুলনা। তাতে হারের শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল তারা। এমন সময় নাহিদুল ইসলামকে নিয়ে চট্টগ্রামের সামনে দেয়াল হয়ে দাঁড়ান মেহেদি। অষ্টম উইকেটে ৫৭ রানের মহাগুরুত্বপূর্ণ জুটি করে হারের শঙ্কা এড়িয়ে দলকে জয়ের কাছে নিয়ে যান দুজন। ২২ রান করে নাহিদুল আউট হলেও দল জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মেহেদি। ৪৯ বলে ৭ চার ও ১ ছক্কায় ৫০ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। খুলনার হয়ে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন সৌম্য সরকার।
খুলনা বিভাগীয় স্টেডিয়ামে বরিশালের দেওয়া ২৪৬ রানের লক্ষ্য জবাবে ১৯১ রানে অলআউট হয়েছে রাজশাহী। তাদের হয়ে সাব্বির হোসেন ও মোহাম্মদ রহিম আহমেদ করেন সমান ৩৩ রান। এছাড়া নিহাদুজ্জামান ২৯ ও মিজানুর রহমানের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। বরিশালের হয়ে ৫২ রানে ৪ উইকেট নেন তানভীর ইসলাম। প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন এই বাঁ হাতি স্পিনার।
প্রত্যাশিতভাবেই ড্র হয়েছে ময়মনসিংহ ও ঢাকার ম্যাচ। কক্সবাজার একাডেমি গ্রাউন্ডে শুভাগত হোম চৌধুরীর দলের করা ৩৩৬ রানের জবাবে ঢাকা থামে ৩৮৮ রানে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিনা উইকেটে ৯৭ রান করে ময়মনসিংহ।
কক্সবাজার আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে রংপুর ও সিলেটের মধ্যকার ম্যাচে অতি নাটকীয় কিছু হয়নি। ড্রয়ে শেষ হয়েছে ম্যাচটি। সিলেটের দেওয়া ২৪৯ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ১১২ রানে ৪ উইকেট হারায় রংপুর। আজ দিনের শুরুতে সিলেটকে দ্রুত অলআউট করতে পারলে জয়ের সম্ভাবনা তৈরি হতো তাদের সামনে। সে কাজটা করতে পারেননি বোলাররা। ২৯৪ রানে ইনিংস ঘোষণা করে সিলেট। তাদের হয়ে ১৪১ রান করেন মুবিন আহমেদ দিশান।