গত বছরের সেপ্টেম্বরে সারের হয়ে কাউন্টি ক্রিকেট খেলার সময় সাকিব আল হাসানের বোলিং অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠে। পরবর্তীতে পরীক্ষা দিয়ে বোলিং করার বৈধতা পান বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক। এক বছরের বেশি সময় পর সাকিব জানালেন, ইচ্ছাকৃতভাবেই ত্রুটিপূর্ণ বোলিং করেছিলেন তিনি।
পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের ধকল শেষ না হতেই সারেতে যোগ দিয়েছিলেন সাকিব। অ্যাকশন নিয়ে প্রশ্ন উঠা ম্যাচে সমারসেটের বিপক্ষে ৭০ ওভারের বেশি বোলিং করতে হয়েছিল তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই ক্লান্ত ছিলেন সাকিব। মূলত এজন্যই ত্রুটিপূর্ণ বোলিং করেছিলেন বলে দাবি তাঁর। তৃতীয়বারের চেষ্টায় বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিয়ে গত মার্চে কৃতকার্য হন সাকিব।
ত্রুটিপূর্ণ বোলিং অ্যাকশন প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমি কিছুটা ইচ্ছা করেই ত্রুটিপূর্ণ বোলিং করেছিলাম। কারণ আমাকে ৭০ ওভারের বেশি বোলিং করতে হয়েছিল। আমি ক্যারিয়ারে আগে কখনো এমনটা করিনি। সারের হয়ে সমারসেটের বিপক্ষে আমি বল করছিলাম। পাকিস্তানের বিপক্ষে টানা ২ টেস্ট ম্যাচ জেতার পর আমি সারের হয়ে খেলতে যাই। আমার মনে হয় আম্পায়াররা আমাকে আগে সতর্ক করতে পারতেন। তাঁরা তাঁদের নিয়মের মধ্যে ছিলেন। তাই আমি কোনো অভিযোগ করিনি।’
বোলিং অ্যাকশন শুধরানোর জন্য কী করেছিলেন সে অভিজ্ঞতার কথাও জানিয়েছেন সাকিব, ‘প্রথমে টেস্ট দিয়ে পাশ করতে পারিনি। এরপর আমাকে টানা ২ সপ্তাহ এটা নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। সারেতে ফিরে ২ সেশন বল করার পর ঠিক হয়ে গিয়েছিল। আমি আমার বেসিকে ফিরে গিয়েছিলাম, ঠিক হয়ে গিয়েছিল।’
সবশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হয়ে মাগুরা-১ আসনের এমপি নির্বাচিত হন সাকিব। গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর হত্যা মামলা হয় সাকিবের বিরুদ্ধে। এমন তিক্ত অভিজ্ঞতার পরও রাজনীতি ছাড়তে চান না দেশের ইতিহাসের সেরা এই ক্রিকেটার।
এ প্রসঙ্গে সাকিব বলেন, ‘আমি আমার ক্রিকেট ক্যারিয়ারের প্রায় অংশ শেষ করেছি। তবে রাজনীতির অংশ এখনো বাকি আছে। এটা এমন কিছু যা আমি বাংলাদেশের মানুষ ও মাগুরাবাসীর জন্য করতে চাই। আমার এমন ইচ্ছা আগেও ছিল, এখনো আছে। দেখা যাক আল্লাহ কি করেন।’