বিশ্বকাপের অর্ধেকের বেশি পেরিয়ে গেছে। টুর্নামেন্টের এই সময়ে এসে যদি কারও কাছে জানতে চাওয়া হয়, কেমন উপভোগ করছেন? উত্তর অনেকটা অনুমিতই হবে—টি-টোয়েন্টির সেই আমেজ এখনো অনুপস্থিত। এই সংস্করণে দর্শক যে উন্মাদনা আশা করেন, সেটারও দেখা মিলছে কপালগুণে।
এর জন্য অবশ্য পরিসংখ্যানের দ্বারস্থ হতেই হয়। ওমান আর সংযুক্ত আরব আমিরাতের চার ভেন্যু মিলিয়ে এবারের বিশ্বকাপে ৪৫ ম্যাচ হবে। গতকাল পাকিস্তান-নামিবিয়া ম্যাচ দিয়ে ৩১টি শেষ হয়ে গেছে। একটু অবাক করা হলেও সত্য, এখন পর্যন্ত ইনিংসে ২০০ ছাড়াতে পারেনি কোনো দল। ৩১ ম্যাচে ১৮০ ছাড়ানো স্কোরই যে হয়েছে মাত্র তিনটি, যেখানে ভারতে সর্বশেষ ২০১৬ বিশ্বকাপে প্রথম ৩০ ম্যাচে ১৮০ ছাড়ানো ইনিংস হয়েছিল ১০টি।
১৮০ থেকে নেমে স্কোর ১৭০-এর ঘরে নিয়ে এলেও খুব বেশি পরিবর্তন হচ্ছে না। এখন পর্যন্ত ১৭০ ছাড়িয়েছে মাত্র তিনবার। এর মধ্যে শারজায় বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা ম্যাচে দুই দলই ১৭০ ছাড়ানো স্কোর করেছে। এই ম্যাচটা অবশ্য আরেকটা কারণেও ‘বিশেষ’। দুই দল মিলিয়ে ৩৪৩ রানই এখন পর্যন্ত এক ম্যাচে সর্বোচ্চ।
টস-আতঙ্কও তাড়া করছে দলগুলোকে! কোনোভাবে আগে ব্যাটিং করতে নামলেই হারের শঙ্কা বাড়ছে! পরে ব্যাট করে ২১ জয়ের বিপরীতে আগে ব্যাটিং করা দল জয় পেয়েছে ১০ ম্যাচে। সর্বশেষ ২০১৬ বিশ্বকাপের দিকে তাকালে অবশ্য একই পরিসংখ্যান ভিন্ন কথা বলছে। আগে-পরে ব্যাটিং করার মধ্যে মোটামুটি একটা সামঞ্জস্য দেখা যাবে সেখানে। পরে ব্যাটিং করে ১১ জয়ের বিপরীতে আগে ব্যাটিং করে জয় এসেছে ১৭ ম্যাচে।
বড় দলগুলোও সুবিধা করতে পারছে না সেভাবে। সেমিফাইনালের আগেই টুর্নামেন্ট থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কায় আছে ফেবারিট ভারতের। গতকাল বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার জয়ে একই শঙ্কা তাড়া করছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ওয়েস্ট ইন্ডিজ আর একই গ্রুপের আরেক দল অস্ট্রেলিয়াকে। জমে ওঠার অপেক্ষায় থাকা বিশ্বকাপ ‘বড়দের’ বিদায়ে আরও প্রাণ হারিয়ে ফেলে কি না, সেই শঙ্কাও জাগছে!