আফ্রিকান আম্পায়াররা কি আমাদের শত্রু হয়ে গেল? পরপর দুই ম্যাচ দেখে এমনটাই মনে হবে সবার কাছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার টুয়েলভে ভারতের বিপক্ষে আম্পায়াররা ভেজা মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলেন বাংলাদেশকে। সাকিব আল হাসান নামতে না চাইলেও তারা শোনেননি।
তার মধ্যে বিরাট কোহলির ‘ফেক’ ফিল্ডিং বিতর্কও ছিল। কিন্তু তা যেন দেখেও দেখেননি দক্ষিণ আফ্রিকার কোচ মারাইজ ইরাসমাস। এমনকি নুরুল হাসান সোহানরা বিষয়টি জানালেও রিভিউ নেননি, যা প্রমাণিত হলে আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী অতিরিক্ত ৫ রান পেত বাংলাদেশ। আর এমনটা হলে ম্যাচটা জিতেই যায় তারা! তাতে সাকিবদের সেমিফাইনালে যেতে এত কঠিন সমীকরণের সামনে পড়তে হতো না।
অ্যাডিলেডে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচেও ফের বিতর্কিত আম্পায়ারিং। ডাচদের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকা হেরে যাওয়ায় যে ম্যাচ জিতলে কিনা সেমি নিশ্চিত সাকিবদের, এই ম্যাচেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত বিপক্ষে গেছে বাংলাদেশের। আর আজকের ম্যাচেও রয়েছেন দুই আফ্রিকান আম্পায়ার। টিভি আম্পায়ার হিসেবে আছেন জিম্বাবুয়ের ল্যাংটন রুসেরি এবং অন-ফিল্ড আম্পায়ারের দায়িত্ব পালন করছেন দক্ষিণ আফ্রিকার আদ্রিয়ান থমাস হোল্টস্টক।
টিভি রিপ্লেতে স্পাইকের রেখা দেখা যায়। বড় পর্দায় সেটি দেখে সাকিব পাকিস্তানি উইকেটকিপার মোহাম্মদ রিজওয়ানের সঙ্গে রসিকতা করে ফের ব্যাটিংয়ের প্রস্তুতি নেন। ঠিক এ সময়ে টিভি আম্পায়ার জানিয়ে দেন সাকিব আউট। তাঁর রায়, বল ব্যাটে লাগেনি, সরাসরি সাকিবের বুটে লেগেছে।
সাকিব অবশ্য আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে একমত হতে পারছিলেন না। তিনি কথা বললেন অন ফিল্ড আম্পায়ারদের সঙ্গে। আম্পায়াররা তাঁকে তাগিদ দিলেন দ্রুত মাঠ ছাড়তে। বাংলাদেশ অধিনায়ক অসন্তুষ্টি নিয়েই শূন্য রানে ফেরন ড্রেসিংরুমে।
ধারাভাষ্যকর ও ক্রিকেট বিশ্লেষক আকাশ চোপড়াও একমত হতে পারেননি আম্পায়ারদের এ সিদ্ধান্তে। তাঁর যুক্তি, ‘সাকিবের ব্যাট মোটেও মাটিতে লাগেনি। বল ব্যাটে লেগেছে, এ ছাড়া আর কিছুই হয়নি। বাংলাদেশ বাজে আম্পায়ারিংয়ের শিকার।’
আম্পায়ার এই সিদ্ধান্তে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ ঝেড়েছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাও। নিজের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে তিনি লেখেন, ‘নিঃসন্দেহে জঘন্য সিদ্ধান্ত। জাহান্নামে যাও।’