বাংলাদেশ-পাকিস্তান দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ তো কম ঘটনাবহুল নয়। রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের রেকর্ডের বন্যা, অনার্স বোর্ডে মেহেদী হাসান মিরাজ-লিটন দাসদের নাম লেখানো এসব তো রয়েছেই, এগুলোর পাশাপাশি এমন কিছু ঘটনা চাউর হয়েছে, যা নিয়ে পরবর্তী সময়ে ব্যাখ্যা দিতে হয়েছে পাকিস্তান অধিনায়ক শান মাসুদকে।
রাওয়ালপিন্ডিতে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের একাদশে ছিলেন না শাহিন শাহ আফ্রিদি। বাংলাদেশ-পাকিস্তান দ্বিতীয় টেস্ট চলার সময়ই সামাজিক মাধ্যমে শাহিন ও মাসুদের মধ্যে ঝগড়ার গুঞ্জন ছড়ায়। এরই মধ্যে পাকিস্তান গতকাল রাওয়ালপিন্ডিতে বাংলাদেশের কাছে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে। মানসিকভাবে বিধ্বস্ত মাসুদের কাছে পঞ্চম দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে জানতে চাওয়া হয়েছিল শাহিনের সঙ্গে ঝগড়া নিয়ে। গুঞ্জনের ব্যাপারে স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক, ‘আমি দেখলাম যে একটা ঘটনা চারদিকে ছড়িয়েছে। যেখানে আমি শাহিনের কাঁধে হাত রেখেছিলাম এবং সেটা সে সরিয়ে নিয়েছে। সে কিন্তু আমার ওপর রাগ হয়নি। কারণ নাহিদ রানার বলে সে (শাহিন) আঘাত পেয়েছে। আমি ঠিক সেখানেই হাতটা রেখেছিলাম।’
মাসুদের সঙ্গে প্রথম টেস্টে পাকিস্তানের লাল বলের কোচ জ্যাসন গিলেস্পির ঝগড়া নিয়েও গুঞ্জন ছড়িয়েছে। সামাজিক মাধ্যমে চাউর হওয়া ঘটনা নিয়ে রীতিমতো বিস্মিত মাসুদ বলেন, ‘পরবর্তী ঘটনা হচ্ছে আমি নাকি জ্যাসন গিলেস্পির ওপর রাগ করেছি। তবে ঘটনা সেটা ছিল না। লিটন ছক্কা মারার পর বলটা হারিয়ে গিয়েছিল। বলটা প্রায় ৮ ওভার পুরোনো হয়ে গিয়েছিল। আম্পায়ার বল রিপ্লেস করে দেওয়ার পর আমরা দেখলাম যে ১৮-১৯ ওভার পুরোনো। তাই বল পরিবর্তনের কথা বলেছিলাম। আমি যুক্তি দেখিয়েছিলাম যে নতুন বল দরকার। তারপর আমি পদত্যাগের গুঞ্জন, শাহিনের সঙ্গে ঝগড়া এসব বিষয় সামনে চলে আছে। তাই ম্যাচ চলার সময় সামাজিক মাধ্যম কম দেখি।’
বাংলাদেশের কাছে টেস্ট সিরিজে প্রথমবার ধবলধোলাইয়ের পর পাকিস্তান দলকে নিয়ে চলছে একের পর এক সমালোচনা। দ্বিতীয় টেস্টের পরই সংবাদ সম্মেলনে পাকিস্তানি ভক্ত-সমর্থকদের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন মাসুদ। এমনকি আহমেদ শেহজাদ, রমিজ রাজা, ইনজামাম উল হক, জাভেদ মিয়াঁদাদরাও তোপ দেগেছেন পাকিস্তান দলকে নিয়ে।