বিশ্বকাপে পাকিস্তান ব্যর্থ হবে আর সব দোষ পড়বে অধিনায়কের ঘাড়ে—এই সংস্কৃতি আজকের নয়। বাবর আজম যতই বলুন না কেন নেতৃত্বে চাপ অনুভব করছেন না, তার পরও কি দুশ্চিন্তায় নেই? দুশ্চিন্তাটা হারের বৃত্তে আটকে থাকা দলকে নিয়ে যতটা, ততটা সাবেক ক্রিকেটার ও সমর্থকদের কথার ছোবল নিয়েও।
নেদারল্যান্ডসের পর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ে যে উড়ন্ত সূচনা, সেটি পাকিস্তান ধরে রাখতে পারল কই! এরপর টানা তিন ম্যাচে হার। আগের ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে বড় ব্যবধানে হেরে এখন চোখে শর্ষে ফুল দেখছেন বাবররা। বিশ্বকাপে যাদের সম্ভাব্য সেমিফাইনালিস্ট ধরা হয়েছিল, সেই পাকিস্তানই রাউন্ড রবিন থেকে বাদ পড়ার শঙ্কায়।
শেষ চারের আশা বাঁচিয়ে রাখতে হলে পাকিস্তানকে বাকি চার ম্যাচে জিততেই হবে, কামনা করতে হবে অন্যদের হারও। এমন চাপ ও সমীকরণকে সামনে রেখে আজ চেন্নাইয়ে ছন্দে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার মুখোমুখি হবেন বাবররা। তবে এমন ম্যাচের আগে পাকিস্তান সবকিছু যেন অদৃষ্টের ওপর ছেড়ে দিয়েছে। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে এমন কথা শাদাব খানের, ‘আপনার যদি বিশ্বাস থাকে, অলৌকিক কিছু ঘটতে পারে।’ বাবরের ডেপুটি জানালেন ঘুরে দাঁড়ানোর ব্যাপারেও, ‘আগে যেমন খেলেছি, বিশ্বকাপে তেমনটা খেলতে পারিনি। আগামীকাল (আজ) থেকে আমাদের জয়ের ধারা শুরু করতে হবে।’
তবে পাকিস্তান যতই দুশ্চিন্তায় থাকুক না কেন, টেম্বা বাভুমা অবশ্য সমীহই করছেন ‘আনপ্রেডিক্টেবল’ পাকিস্তানকে। বাবররা বিপজ্জনক দল তাঁর কাছে, ‘আমরা পাকিস্তানকে বাতিলের খাতায় রাখতে পারি না। তাদের সম্মান দেখাতেই হবে।’ চোটের কারণে গত দুই ম্যাচে খেলেননি বাভুমা। তাঁর পরিবর্তে প্রোটিয়াদের নেতৃত্ব দেন এইডেন মার্করাম। বাভুমা খেলুক বা না খেলুক, প্রোটিয়ারা আজকেও বড় ইনিংস চাইবে কুইন্টন ডি ককের কাছে। শেষ বিশ্বকাপ খেলতে এসে ইতিমধ্যে তিনটি সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন এই উইকেটরক্ষক। কিন্তু দুর্দান্ত ছন্দে থাকলেও সন্তুষ্ট নন ডি কক। বললেন, ‘আমি সন্তুষ্টির চেয়ে বেশি ক্লান্ত।’