জাতীয় ক্রিকেট দলের নির্বাচকদের প্রকৃত ভূমিকা নিয়ে সমালোচনা দিনে দিনে বাড়ছেই। সেই সমালোচনার পালে আরও হাওয়া লাগিয়েছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা।
দেশের ক্রিকেট কয়েক দিন ধরেই উত্তপ্ত আবু জায়েদ রাহিকে ঘিরে। জাতীয় দলে খেলতে হলে লবিং করতে হয়—এমন মন্তব্য করে বিতর্কের আগুন জ্বেলেছেন এই পেসার। জাতীয় দল থেকে ঠিক কী কারণে বাদ পড়লেন, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে হতাশায় ভেঙে পড়েছিলেন রাহি।
রাহির মতো শেষ কয়েক সিরিজ থেকে দলের বাইরে পেসার রুবেল হোসেন। আগের কয়েক সিরিজে দলে থাকলেও তেমন কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা হয়নি রুবেল কিংবা রাহির। ম্যাচ খেলার সুযোগ না দিয়ে বাদ দেওয়ার প্রক্রিয়ার সমালোচনা করেছেন মাশরাফি। কেন তাঁদের বাদ দেওয়া হলো, ক্রিকেটারদের সেই কারণ জানানোর সাহস নির্বাচকদের নেই বলেও দাবি তাঁর। সরাসরি প্রশ্ন তুললেন নির্বাচকদের ভূমিকা নিয়ে।
কারণ না জানিয়ে নির্বাচকদের বাদ দেওয়ার প্রবণতার সমালোচনায় গতকাল মাশরাফি বলেছেন, ‘এটা আমাদের দেশের সবচেয়ে বড় সমস্যা। খেলোয়াড়েরা নিরাপত্তাহীনতায় ভোগে। একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে যে কেউ ন্যূনতম শ্রদ্ধা আশা করে। খেলোয়াড়দের যদি বলা হয় তাদের কী সমস্যা, কোথায় ভুল ছিল, কী করণীয়—তাহলে নিজের ভুলগুলো বুঝতে পারে। এই কারণগুলো না জানিয়ে যখন কাউকে বাদ দেওয়া হয়, তখন তার জন্য দলে আবার ফেরাটা কঠিন হয়ে যায়। সে ঠিক কী কারণে বাদ পড়ল তা বুঝিয়ে দেওয়া উচিত।’
খেলোয়াড়দের সেই কারণগুলো বুঝিয়ে বলার মতো সাহস নির্বাচকদের নেই বলে মন্তব্য মাশরাফির, ‘নির্বাচকদের এ কথা না বলাটা অনেক বড় দুর্বলতা। আপনার যদি কথা বলার সাহস না-ই থাকে, তাহলে আমি মনে করি এসব জায়গায় চাকরি করা ঠিক না। আপনাকে সাহসী হতে হবে। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের মতো শীর্ষ এক প্রতিষ্ঠানে বসে যখন সাহস দেখাতে পারবেন না, তখন আপনার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে। একটা খেলোয়াড় যখন পারফর্ম করতে না পারলে প্রশ্ন ওঠে, আপনার পারফরম্যান্সও সেভাবেই দেখা হবে। এটাও বিবেচনা করা হবে।’