হোম > খেলা > ক্রিকেট

বিসিবির ‘পাইপলাইন’ নিয়ে দুর্জয়ের আফসোস

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হাই পারফরম্যান্স ক্যাম্প পরিচালনার জন্য গতকাল বাংলাদেশে এসেছেন প্রধান কোচ ডেভিড হেম্প। আজ থেকে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন বিশেষায়িত ক্যাম্প নিয়ে। যেখানে এইচপি হচ্ছে খেলোয়াড়দের দক্ষ করে তোলার প্ল্যাটফর্ম। এবার এইচপি ক্যাম্পের বড় চ্যালেঞ্জ হচ্ছে আগামী জুলাই-আগস্টে ইমার্জিং এশিয়া কাপ আর সেপ্টেম্বরে এশিয়ান গেমসে ভালো করা। ক্যাম্প শুরুর আগে গতকাল ২৫ সদস্যের দলও দিয়েছে বিসিবি। 

আজ ক্যাম্পের প্রথম দিন নতুন কোচ হেম্পকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলেন হাই পারফরম্যান্স চেয়ারম্যান নাইমুর রহমান দুর্জয়। এইচপি ক্যাম্প হচ্ছে অনেক দিন ধরেই। গত কয়েক বছরে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের ক্যাম্প করার পর উন্নতিও ছিল চোখে পড়ার মতো। কয়েকজন ক্রিকেটার সুযোগ পান জাতীয় দলেও। দুর্জয় জানিয়েছেন, প্রত্যাশা অনুযায়ী অনেক কিছুই করতে পারেননি। তবে উন্নতি নির্ভর করছে ক্রিকেটারদের ওপরই। 

মিরপুরে সাংবাদিকদের দুর্জয় বলেন, ‘সবকিছু নির্ভর করছে খেলোয়াড়দের ওপর। আমার বা আমার কমিটির কাজ হল সাপোর্টগুলো দেওয়া। তাদের যে জিনিসগুলো প্রয়োজন সেগুলো সরবরাহ করা। তবে মূলত যেসব খেলোয়াড় এইচপি থেকে জাতীয় দলে উঠে আসছে, বেশ কয়েকজন খেলোয়াড়। আমরা ৭-৮ জন খেলোয়াড় দেখি যারা এইচপির মধ্য দিয়ে উঠে এসেছে। আসলে পুরো ব্যাপারটি খেলোয়াড়দের।’ 

তিনি যোগ করেন, ‘যারা সুযোগ কাজে লাগিয়ে উন্নতি করতে পারে, ভালোভাবে প্রস্তুত করতে পারে নিজেকে। যত ভালোভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবে ততই বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য ভালো। তারাই জাতীয় দলকে প্রতিনিধিত্ব করে। এটা আমাদের কিছু না, পুরোটাই খেলোয়াড়দের।’ 

দুর্জয় মনে করেন, আরও ভালো কিছু করতে পারত এইচপি। প্রেক্ষাপট অনুযায়ী সীমাবদ্ধতাও আছে বললেন, ‘এখনো মনে করি বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে সবকিছু পারিনি। কারণ আমাদের অবকাঠামোতে কিছু সীমাবদ্ধতা আছে। যেমন গ্রাউন্ডস, ইনডোর, জিম। বৃষ্টির মৌসুমে আমাদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়। একইভাবে এইচপির প্রোগ্রামটাও আমাদের বৃষ্টির মৌসুমে করতে হয়। খেলোয়াড়েরা ব্যস্ত থাকে জাতীয় লিগ, আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট, বিপিএল, ডিপিএল অনেক কিছু খেলতে হয়। ওই সময় কিন্তু আমরা প্রোগ্রামগুলো করতে পারি না। বিশেষ করে স্কিল ট্রেনিং করা যায় না। বৃষ্টির মৌসুমে করতে হয়। এ কারণে আমাদের আরও কিছু অবকাঠামো উন্নতি করতে হবে। বিশেষ করে ইনডোর, জিম।’ 

এবার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়েই কাজ শুরু করেছে এইচপি। যার জন্য হেম্পের সঙ্গে প্রাথমিক চুক্তিটা হয়েছে ২ বছরের জন্য। এইচপি চেয়ারম্যান বলেছেন, ‘অবশ্যই দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা থেকে এটা আসা। একজন কোচের অধীনে যত বেশি দিন থাকবে ওদের (ক্রিকেটারদের) বোঝাপড়াটা ভালো হয়। ওই খেলোয়াড় সম্পর্কে কোচের ধারণাটা ভালো হয়। কোচের সঙ্গেও বোঝাপড়াটা ভালো হয়। যে কারণে দুই বছরের জন্য ডেভিড হেম্পের সঙ্গে চুক্তি করেছি।’ 

ক্রিকেটারদের মানসিক সমস্যা দূর করার লক্ষে এবার ক্যাম্পের সঙ্গে থাকবেন ক্রীড়া মনোবিদ ডেভিড স্কটও। মানসিক দুর্বলতা কাটিয়েই যেন খেলোয়াড়েরা জাতীয় দলে যেতে পারে। যার জন্য মনোবিদ রাখছে বিসিবি। দুর্জয় বললেন, ‘আমরা সবাই জানি, এইচপি হলো জাতীয় দলের জন্য প্রস্তুত করার জায়গা। তো জাতীয় দলে গিয়ে আমরা যে সমস্যাগুলো মোকাবিলা করি, সেটা খেলোয়াড়দের মানসিক হতে পারে, কৌশলগত হতে পারে। সেই জিনিসগুলো যেন জাতীয় দলে গিয়ে আমাদের মোকাবিলা করতে না হয়। খেলোয়াড়দের যে সুযোগ-সুবিধাগুলো পাওয়া উচিত, সেগুলো দেওয়ার জন্যই এসবের সঙ্গে পরিচিত করা হয়েছে।’

শুরুটা দারুণ হলেও শেষটা বাজে তাসকিনের

চুরির আগে চোর ধরার উপায় বের করেছে বিসিবি

বাংলাদেশে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার দেখেছি, রংপুর কোচ

‘নোয়াখালী বিভাগ হলে খুব ভালো হবে’

বিপিএলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান কীভাবে করবে বিসিবি

মোস্তারির টানা তিন ফিফটিতে সবার ওপরে উত্তরাঞ্চল

রেকর্ড জয়ে দক্ষিণ আফ্রিকাকে পেছনে ফেলল নিউজিল্যান্ড, বাংলাদেশ কোথায়

কবে অবসর নেবেন রোহিত শর্মা

ভারতকে হারিয়ে ২১ লাখ টাকা পাচ্ছেন পাকিস্তানের ক্রিকেটাররা

আইসিসি কেন এই সিস্টেমের খরচ বহন করছে না, প্রশ্ন স্টার্কের