আফগানিস্তানের বিপক্ষে সদ্য সমাপ্ত ওয়ানডে সিরিজে স্পিনারদের সামলাতে সবচেয়ে বেশি বেগ পোহাতে হয়েছে বাংলাদেশকে। বিশেষ করে রশিদ খানের সামনে রীতিমতো অসহায় ছিলেন ব্যাটাররা। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে রশিদের মতো বিশ্ব মানের স্পিনার না থাকায় স্বস্তি প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফু হোসেন লিপু।
টি–টোয়েন্টিতে আফগানিস্তানকে ধবলধোলাই করলেও ওয়ানডেতে একটা ম্যাচও জিততে পারেনি বাংলাদেশ। নিজেদের সেরা সংস্করণে ৩–০ ব্যবধানে হারার পর কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়েছে ব্যাটারদের। সিরিজে ৩ ম্যাচে ১১ উইকেট নিয়েছেন রশিদ। এই পরিসংখ্যানই বলে দিচ্ছে–বাংলাদেশের ব্যাটারদের কতটা ভুগিয়েছেন এই লেগস্পিনার।
তিনটি করে ওয়ানডে ও টি–টোয়েন্টি খেলতে গতকাল রাতে ঢাকায় পার রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ক্যারবীয়ানদের বিপক্ষে পঞ্চাশ ওভারের সিরিজের জন্য আজ দল দিয়েছেন লিপু। সেখানে আফগানিস্তান সিরিজে ব্যাটারদের ব্যর্থতা নিয়ে কথা বলেছেন তিনি।
লিপু বলেন, ‘অতি সম্প্রতি সাদা বলের ক্রিকেটে আমাদের বেশকিছু সাফল্য আছে। কিন্তু সম্প্রতি আফগানিস্তানের বিপক্ষে আমাদের বাজেভাবে হার নিকট অতীতের সফলতাকেও ম্লান করেছে। এটা কেউ আশা করেনি। সিরিজটিতে আমাদের ব্যাটারদের দূর্বলতা প্রকাশ পেয়েছে। যত দ্রুত সম্ভব আমাদের এই দূর্বলতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। এবার আর আবুধাবির পিচে খেলা হচ্ছে না। খেলা হবে মিরপুরের উইকেটে। প্রতিপক্ষ দলেও (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) রশিদের মতো কিংবা আফগানিস্তান দলে যেসব উঁচুমানের স্পিনার আছে তাদের মুখোমুখি হতে হচ্ছে না। এটা আমাদের জন্য কিছু স্বস্তির।’
ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বের হয়ে এসে দল দ্রুত ভালো কিছু করবে, এমনটাই আশা প্রধান নির্বাচকের, ‘ক্রিকেটারদের যে কষ্ট বয়ে বেড়াতে হচ্ছে, নিয়মিতভাবে ব্যাটাররা ৫০ ওভার খেলতে পারেনি। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তো ইনিংসের অর্ধেকও ভালোভাবে খেলতে পারেনি। এসব বিষয় ক্রিকেটারদের জন্য বুকে বয়ে বেড়ানো কঠিন। ক্রিকেটাররা শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিতে সম্পূর্ণ আচ্ছন্ন আছে। এ ব্যাপারে কোনো সন্দেহ নেই। এমতাবস্থায় দ্রুত মাঠে ফেরা যেমন চ্যালেঞ্জিং, ঠিক একইভাবে আমি মনে করি যে দ্রুত সফলতার মুখ দেখে, ভালো ক্রিকেট খেলে আমার মনে হয় যে গ্লানিটা আফগানিস্তানের সঙ্গে পেয়েছি সেখান থেকে রিকভার করে নিজেদেরকে একটা সফলতার জায়গায় নিয়ে আসতে পারব বলে আমি মনে করি।’