টি-টোয়েন্টিতে জয় ‘সোনার হরিণ’ হয়ে উঠেছে নিউজিল্যান্ডের কাছে। জুলাইয়ে হারারেতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ৩ রানে জয়ের পর কিউইরা তিনটি করে টি-টোয়েন্টি খেলেছে অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। তবে এই ৬ টি-টোয়েন্টিতে নেই কোনো জয়। আজ অকল্যান্ডে জয়ের কাছাকাছি গিয়েও কিউইরা কাটাতে পারল না জয়খরা।
নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টিতে জয়ের দেখা না পেলেও ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে উড়ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নেপালের কাছে দুই টি-টোয়েন্টি হারের পর এই সংস্করণে টানা পাঁচ ম্যাচ জিতেছে উইন্ডিজ। যার মধ্যে রয়েছে সবশেষ বাংলাদেশকে ৩-০ ব্যবধানে ধবলধোলাই। সেই ধারাবাহিকতায় অকল্যান্ডে আজ সিরিজের প্রথম টি-টোয়েন্টিতে নিউজিল্যান্ডকে ৭ রানে হারিয়েছে উইন্ডিজ। পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে ক্যারিবীয়রা।
১৬৫ রানের লক্ষ্যে নেমে ৩ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৩০ রান করে নিউজিল্যান্ড। চতুর্থ ওভারের প্রথম বলে ডেভন কনওয়েকে (১৩) ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন ম্যাথু ফোর্ড। দারুণ শুরুর পরই খেই হারিয়ে ফেলে স্বাগতিকেরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা নিউজিল্যান্ডের স্কোর এক পর্যায়ে হয়ে যায় ১৬.৪ ওভারে ৯ উইকেটে ১০৭ রান। যেখানে নিশাম ২ রানে জীবন পেয়ে আউট হয়েছেন ১১ রানে।
নিউজিল্যান্ডের হার যখন সময়ের ব্যাপার মাত্র, তখন প্রতিরোধ গড়ে তোলেন মিচেল স্যান্টনার ও জ্যাকব ডাফি। জয়ের প্রায় কাছাকাছি পৌঁছেই গিয়েছিল কিউইরা। কিন্তু শেষ দুই বলে যখন ১২ রানের সমীকরণের সামনে স্বাগতিকেরা, তখন স্যান্টনার ডট দিলে সেই আশাটুকু শেষ হয়ে যায়। ইনিংসের শেষ বলে কিউই অধিনায়ক চার মারলেও সেটা শুধু হারের ব্যবধান কমাতে পেরেছে। দশম উইকেটে স্যান্টনার-ডাফি গড়েন ২০ বলে ৫০ রানের অবিচ্ছেদ্য জুটি। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৫৭ রানে আটকে যায় কিউইরা।
নিউজিল্যান্ডের ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৫ রান করে অপরাজিত থাকেন স্যান্টনার। ২৮ বলের ইনিংসে ৮ চার ও ২ ছক্কা মেরেছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জেইডেন সিলস ৪ ওভারে ৩২ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ম্যাচসেরা হয়েছেন ক্যারিবীয় স্পিনার রস্টন চেজ। ২৭ বলে একটি করে চার ও ছক্কায় করেছেন ২৮ রান। বোলিংয়ে ৪ ওভারে ২৬ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট।
টস জিতে আজ ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল স্যান্টনার। আগে ব্যাটিং পাওয়া ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর এক পর্যায়ে ছিল ৭ ওভারে ৩ উইকেটে ৪৩ রান। এখান থেকেই রান তোলার গতি বাড়াতে থাকে উইন্ডিজ। চতুর্থ উইকেটে ৩৩ বলে ৫৪ রানের জুটি গড়েন রস্টন চেজ ও শাই হোপ। শেষ ৫ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ৫১ রান যোগ করায় উইন্ডিজ নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে করেছে ১৬৪ রান। ইনিংস সর্বোচ্চ ৫৩ রান করেন অধিনায়ক হোপ। ৩৯ বলের ইনিংসে মেরেছেন ৪ চার ও ৩ ছক্কা।
ছয় নম্বরে নামা রভমান পাওয়েলের ৩৩ রানের ইনিংসটা ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ১৬০ পেরোতে সহায়তা করেছে। ২৩ বলের ইনিংসে দুটি করে চার ও ছক্কা মেরেছেন। এই ইনিংস খেলার পথে ১, ২৩ ও ৩০ রানে জীবন পেয়েছেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের জাকারি ফুকস ও জ্যাকব ডাফি নিয়েছেন দুটি করে উইকেট। যাঁর মধ্যে ডাফি ৪ ওভারে খরচ করেন ১৯ রান। সবশেষ ৭ টি-টোয়েন্টির মধ্যে চারটিতেই হেরেছে কিউইরা। বৃষ্টিতে ভেসে গেছে তিন টি-টোয়েন্টি।