রাহুল দ্রাবিড় কি গতকাল ‘টাইম মেশিনে’ চড়ে ১৭ বছর আগে ফিরে গিয়েছিলেন? হয়তোবা হ্যাঁ, হয়তোবা না। সে যা-ই হোক, বার্বাডোজের কেনসিংটন ওভালে ‘ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি’ প্রায় হয়েই গিয়েছিল দ্রাবিড়ের সঙ্গে। দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে শেষ হাসি হেসেছেন দ্রাবিড়রা।
ওয়েস্ট ইন্ডিজে ২০০৭ ওয়ানডে বিশ্বকাপে দ্রাবিড়ের নেতৃত্বাধীন ভারতের গ্রুপে ছিল বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা ও বারমুডা। এমন গ্রুপ পেয়েও ভারত ছিটকে যায় গ্রুপ পর্বেই। একমাত্র জয় ভারত পেয়েছিল বারমুডার বিপক্ষে। সেই বিশ্বকাপে বাংলাদেশের ‘ভারতবধ’কে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা অঘটন হিসেবে ধরা হয়। ক্রিকেটার হিসেবে ওয়েস্ট ইন্ডিজে যে দুঃখে দ্রাবিড় পুড়েছিলেন তখন, ১৭ বছর পর কোচ হিসেবে এবার সেই দুঃখ ঘোচালেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গত রাতে বার্বাডোজের ফাইনালে ভারতের হার ছিল সময়ের ব্যাপার মাত্র। শেষ ৪ ওভারে হাতে ৬ উইকেট নিয়ে ২৬ রান দরকার ছিল প্রোটিয়াদের। ব্যাটিংয়ে ছিলেন হেনরিখ ক্লাসেন ও ডেভিড মিলারের মতো দুই টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞ। এখান থেকেই একের পর এক উইকেট নিয়ে অবিশ্বাস্য প্রত্যাবর্তন হয় ভারতের। মাঠে ক্রিকেটারদের উদ্যাপনের সঙ্গে ডাগআউটেও উল্লাস করতে দেখা যায় দ্রাবিড়কে। শেষ পর্যন্ত ভারত ৭ রানে জিতলে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্মকর্তা থেকে শুরু করে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা—সবার সঙ্গেই ছবি তুলেছেন দ্রাবিড়। ভারতের পতাকা গায়ে জড়িয়ে মাঠ প্রদক্ষিণ করেন বিশ্বকাপজয়ী কোচ। ১১ বছরের আইসিসি শিরোপা ঘোচানোর পর দ্রাবিড়কে আকাশে ছুড়ে উদ্যাপন করেন কোহলি, রোহিত, ঋষভ পন্তরা।