তীরে এসে তরি ডোবার গল্প তো বাংলাদেশের জন্য নতুন কিছু নয়। নিউইয়র্কের নাসাউ কাউন্টিতে গতকাল দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে বাংলাদেশ হেরেছে ৪ রানে। কাছাকাছি গিয়ে স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় যখন পুড়ছে বাংলাদেশ দল, তখন কম্পিউটার বিশ্লেষক মহসিন শেখ তোপ দেগেছেন আম্পায়ারিং নিয়ে।
আম্পায়ারিং নিয়ে কথা বলতে গিয়ে মহসিন বাংলাদেশের ইনিংসের নির্দিষ্ট একটা ঘটনাকে উল্লেখ করেছেন। ১১৪ রান তাড়া করতে নেমে ১৬.১ ওভারে বাংলাদেশ করেছে ৪ উইকেটে ৮৮ রান। ১৭তম ওভারের দ্বিতীয় বলে প্রোটিয়া পেসার ওটনিল বার্টম্যানকে ফ্লিক করতে যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। দক্ষিণ আফ্রিকা দল আবেদন করলে মাঠের আম্পায়ার স্যাম নোগাস্কি আউট দিয়ে দেন। একই সঙ্গে সেটা হয়ে যায় ৪। পরে রিভিউতে দেখা যায়, বল স্টাম্পে আঘাত হানেনি। আম্পায়ার প্রথমে আউট দেওয়ায় ৪ রানও পায়নি বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত নাজমুল হোসেন শান্ত-মাহমুদউল্লাহরা হেরে যান ৪ রানে। আম্পায়ারিং নিয়ে ফেসবুক পোস্টে মহসিন বলেন, ‘কোনো অজুহাত দিচ্ছি না। তবে এই নিয়মটা খুবই বাজে। বাজে আম্পায়ারিং কলের মাধ্যমে আমাদের থেকে ৪ রান কেড়ে নেওয়া হয়েছে। ম্যাচটাও হেরেছি ৪ রানে। আইসিসি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, বিসিবি, আইসিসিকে এ ব্যাপারে খেয়াল রাখা উচিত। দল কখনো শাস্তি পেতে পারে না এমন ঘটনায়। খুবই হৃদয়বিদারক ঘটনা।’
দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রথম জয় যে কাছাকাছি গিয়েও পাওয়া হলো না, তাতে সামাজিক মাধ্যমে আম্পায়ারিং নিয়ে ক্ষোভ ঝেরেছেন অনেকেই। বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে পোস্ট করেন, ‘বাজে আম্পায়ারিং।’ পাইলটের পোস্টে অনেকেই দিয়েছেন স্যাড রিঅ্যাকশন। বাংলাদেশের জয় হাতছাড়া হওয়ার আক্ষেপ নিয়ে মন্তব্যও করেন অনেক ভক্ত-সমর্থক।