দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে খেলার অবস্থায় নেই সাকিব আল হাসান। এমন মন্তব্যের পর বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন নিজ বাসভবনে যে সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন, সেটিতে পরোক্ষভাবে বাঁহাতি অলরাউন্ডারকে বাদ দেওয়ার হুঁশিয়ারি ছিল। গত পরশু বিসিবির পরিচালক ও টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন সাকিবের ব্যাপারে ‘ফুল স্টপ’ দেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন।
কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল অন্য ছবি ৷ সাকিবকে তিন সংস্করণে পাওয়া-না পাওয়ার অনিশ্চয়তা থাকার পরও তাঁকে সব সংস্করণের কেন্দ্রীয় চুক্তিতে রেখেছে বিসিবি ৷ শীর্ষ কর্তাদের ‘হুমকি’র পরও সাকিবকে ‘বাদ’ দিতে পারেনি বোর্ড, সেটির ব্যাখ্যা দিয়েছেন নির্বাচকেরা ৷
সাকিবকে তিন ফরম্যাটে রাখা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর তার জবাবে প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু বলেছেন, ‘আমাদের কাছে যে তথ্য আছে, সে অনুযায়ী তিন ফরম্যাটের জন্যই সাকিব প্রস্তুত আছে। সে অনেক বড় মাপের খেলোয়াড়। বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারের একজন। তার কাছে সব সময় সেরাটাই আমরা চাই। সেজন্য তাকে তিন ফরম্যাটেই রাখা হয়েছে।’
ছয় মাস টেস্ট খেলতে চান না সাকিব—সংবাদমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশের পরও সাকিবকে রাখার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে প্রধান নির্বাচক বলেছেন, ‘আগামী এক বছর আমরা সাকিবের কাছ থেকে আরও ভালো পারফরম্যান্স চাইছি। আমরা প্রায় এক মাস আগে এই তালিকা জমা দিয়েছি। সাকিব এলে অবশ্যই কথা বলব। ২০২২ সালে তিন ফরম্যাটেই অনেক খেলা আছে। সে হিসাবে আমাদের অনেক খেলোয়াড় লাগবে। সেরা খেলোয়াড়কে আমরা সব সময়ই তিন ফরম্যাটে চাই। আশা করছি রিফ্রেশ হয়ে ফিরে এসে তিন ফরম্যাটেই খেলবে।’
ছয় মাসের ছুটিকে শুধু গুঞ্জন হিসেবে ব্যাখ্যা করেছেন আরেক নির্বাচক আবদুর রাজ্জাক। তিনি বলেছেন, ‘ছয় মাসের ছুটির যে কথা বলছেন, তা আনুষ্ঠানিক কিছু না। যেহেতু আনুষ্ঠানিক নেই, তাই কেউ দুইটা সিরিজ বিশ্রাম নিলে তাকে তিন ফরম্যাটের চুক্তিতে রাখা যাবে না এমন না। এখানে সিস্টেম হল-বোর্ড প্রথমে কথা বলেছে কে কোন ফরম্যাটে খেলতে চায়। তারপর সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাকিব কিন্তু এখনো কোনো ফরম্যাট থেকে সরে যায়নি।’