বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের দলে প্রথমে আকিল হোসেন না থাকলেও পরে সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগিয়েছিলেন। দুই ওয়ানডে খেলে নিয়েছিলেন ৬ উইকেট। কিন্তু ঠিক তার পরের সিরিজেই জায়গা হলো না আকিলের।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের জন্য আজ ১৫ সদস্যের দল ঘোষণা করেছে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজ (সিডব্লিউআই)। যথারীতি এই সিরিজও উইন্ডিজকে নেতৃত্ব দেবেন হোপ। পেসার ইয়োহান লেইন ও শামার স্প্রিঙ্গার প্রথমবারের মতো ওয়ানডে দলে ডাক পেয়েছেন। এই সিরিজ দিয়ে ছয় বছর পর ওয়ানডে দলে ফিরেছেন জন ক্যাম্পবেল। ওয়ানডেত সবশেষ ২০১৯ সালে ডাবলিনে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলেছিলেন তিনি। সেবার ১৩৭ বলে ১৭৯ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন ক্যাম্পবেল।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের দলে থাকা ম্যাথু ফোর্ড আছেন ওয়ানডে সিরিজেও। কিন্তু ওয়ানডেতে ফোর্ড সবশেষ খেলেছেন এ বছরের জুনে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে। নিউজিল্যান্ড সিরিজ খেলার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সবশেষ ওয়ানডে খেলেছে মিরপুরে গত মাসে বাংলাদেশের বিপক্ষে। আকিলের মতো বাংলাদেশ সিরিজের দলে থাকা গুড়াকেশ মতি, র্যামন সিমন্ডস ও ব্র্যান্ডন কিং বাদ পড়েছেন কিউই সিরিজ থেকে। সিমন্ডস চোট থেকে সেরে উঠতে পারেননি। খেলা হয়নি বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজও। তবে হোপের পাশাপাশি বাংলাদেশ সিরিজের দলে থাকা আলিক আথানাজ ও আকিম আগুস্তে নিউজিল্যান্ড সিরিজেও জায়গা ধরে রেখেছেন। আগুস্তের ওয়ানডে অভিষেক হয়েছে বাংলাদেশের বিপক্ষেই।
অক্টোবরে ঘরের মাঠে বাংলাদেশ ২-১ ব্যবধানে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। মিরপুরের ঘূর্ণি উইকেটে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে সর্বোচ্চ ১২ উইকেট নিয়েছিলেন রিশাদ হোসেন। তাঁর ইকোনমি ছিল ৪.৬৭। রিশাদের পরই দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৬ উইকেট নিয়েছিলেন আকিল হোসেন। আকিলের ইকোনমি ছিল ৪.১। এবার এই বাঁহাতি স্পিনারকে ছাড়াই নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ খেলতে নামছে উইন্ডিজ। ক্রাইস্টচার্চে ১৬ নভেম্বর শুরু হবে নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের প্রথম ওয়ানডে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় ওয়ানড ১৯ ও ২২ নভেম্বর হবে নেপিয়ার ও হ্যামিল্টনে।