কয়েক মাস পর বছর হবে, ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপের প্রাইজমানির টাকা ক্রিকেটাররা এখনো পাননি বলে দাবি করেছেন ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (কোয়াব) সাধারণ সম্পাদক দেবব্রত পাল।
প্রাইজমানির টাকা না পাওয়ার ব্যাপারে এখন পর্যন্ত সরাসরি কোনো ক্রিকেটার অভিযোগ করেননি। তবে ক্রিকেটারদের সুবিধা-অসুবিধা নিয়ে কাজ করে কোয়াব। আজ মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে দেবব্রত পাল বলেন, ‘ক্রিকেট অপারেশনস এখন যেটা আছে ক্রিকেটারদের। আপনারা কি জানেন ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ হয়েছিল ভারতে। সেই ওয়ানডে বিশ্বকাপের টাকা আইসিসির সঙ্গে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের যে চুক্তি থাকে ১৫ দিনের মধ্যে টাকা দেওয়ার কথা। এটা খেলোয়াড়দের মধ্যে বণ্টন হয় সেই টাকা এখনো পর্যন্ত খেলোয়াড়দের দেওয়া হয়নি।’
সর্বশেষ ওয়ানডে বিশ্বকাপে হতাশায়ভরা পারফরম্যান্স করেছিল বাংলাদেশ দল। তবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে অংশগ্রহণের জন্য ১ লাখ মার্কিন ডলার প্রাইজমানি পেয়েছিল তারা। কোনো ম্যাচ না জিতলেও ওই পরিমাণ অর্থ নিশ্চিত ছিল তাঁদের জন্য। তবে দুই ম্যাচ জেতায় ৪০ হাজার করে আরও ৮০ হাজার মার্কিন ডলার বেশি পেয়েছে বাংলাদেশ। সব মিলিয়ে ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২ কোটি টাকার মতো।
বিসিবির পরিচালনা পর্ষদের পেশাদারিত্বের প্রশ্ন তোলে দেবব্রত বলেন, ‘আম্পায়ার্স কমিটিসহ ক্রিকেট বোর্ড তারা যে ব্যবস্থাপনা ও পেশাদারিত্ব ছিল...। এরপরও আমি যেটা বললাম, ক্রিকেটে একটা ভদ্রলোকের খেলা। কিন্তু কোনো প্রকার ভদ্র আচরণ এখানে ছিল না। আম্পায়ার ডিপার্টমেন্টে আগের চেয়ারম্যান দেখেন বর্তমান দেখেন আজকে মোর্শেদ আলী খান ইন্টারন্যাশনাল প্যানেলে গিয়েছে। আমরা কি জানি সে এখনো পর্যন্ত বিসিবির চুক্তিতে এ নেই। এমন একটা বৈষম্যের শিকার করা, এগুলো কখনো হতে পারে না।’