মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে সকালের প্রথম ঘণ্টায় দারুণ বোলিং করেন বাংলাদেশের পেস ত্রয়ী। তাতে অনেকটা খোলসে ঢুকে পড়েন নিউজিল্যান্ড ব্যাটাররা। দিনের বাকি অংশটায় তাঁদের বোলিং দেখে অবশ্য সেটা বিশ্বাস করার উপায় নেই।
সময় যত গড়িয়েছে, বে ওভালের উইকেট তার সবুজাভ চেহারা হারিয়েছে, যেটা দেখে তিন পেসার নিয়ে নামার সাহস দেখিয়েছিল বাংলাদেশ। উইকেটের সবুজাভ চেহারা পাল্টানোর সঙ্গে সঙ্গে সুইং-বাউন্স দুটোই কমেছে। শুকানো উইকেটে লাইন-লেংথের ওপর তাই ভরসা করতে হয় শরিফুল ইসলাম-তাসকিন আহমেদদের।
আজ বাংলাদেশের দিনের সেরা বোলার শরিফুল। প্রথম ঘণ্টায় যে উইকেটের কথা হচ্ছিল, সেখানে ভীতি ছড়ালেও উইকেট নিতে পারেননি তাসকিন আর ইবাদত। একমাত্র টম ল্যাথামের উইকেটটি নেন শরিফুল। পরে বিদায় সিরিজে খেলতে নামা রস টেলরকেও ফেরান তিনি।
দিনের খেলা শেষে শরিফুলও সকালের প্রথম ঘণ্টার কথাই বললেন, ‘প্রথম ঘণ্টায় বোলিং করে ভালো লেগেছে। নতুন বলে মুভমেন্ট ও ভালো সুইং ছিল। দারুণ উপভোগ করেছি। লাঞ্চের পর উইকেট ভিন্ন ছিল। একটু ফ্ল্যাট হয়ে গিয়েছিল, বল সোজা যাচ্ছিল। যখন দেখছি যে উইকেট ফ্ল্যাট হয়ে গেছে, আমরা লাইন-লেংথ ঠিক রেখে বল করার চেষ্টা করেছি, যাতে ব্যাটারদের স্কোর করা একটু কঠিন হয়।’
দিনের খেলার শেষ দিকে দ্রুত ২ উইকেট নিয়ে দিনটা পুরোপুরি নিউজিল্যান্ডের হতে দেয়নি বাংলাদেশ। সেঞ্চুরি পূর্ণ করে দারুণ ব্যাট করতে থাকা ডেভন কনওয়েকে ফেরানোয় স্বস্তি ফেরে বাংলাদেশ দলে। ৫ উইকেটে ২৫৮ রান নিয়ে প্রথম দিন শেষ করেছে কিউইরা।
দ্বিতীয় দিনে তাদের দ্রুত অলআউট করতে চান জানিয়ে শরিফুল বলেছেন, ‘কনওয়ের উইকেটটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল। সে ভালো খেলছিল। এটা দলের জন্য খুব ভালো হয়েছে, আমরা এটা ধরে রাখার চেষ্টা করব। দ্রুত উইকেট নিয়ে তাদের অলআউট করতে চাই।’