নিউজিল্যান্ড-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার ৫ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে ভেসে যায়। বাকি ৪ ম্যাচের তিনটিতেই ফল হয়েছে শেষ ওভারে এসে। সংক্ষিপ্ত ওভারের সিরিজের সেই চিত্র এবার ওয়ানডেতেও ফিরিয়ে আনল দুদল। প্রথম ওয়ানডেতে লড়াই করে শেষ ওভারে এসে হেরেছে ক্যারিবীয়রা। ৭ রানের জয়ে সিরিজে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
ক্রাইস্টচার্চের হেগলি ওভালে আগে ব্যাট করে ২৬৯ রান তোলে নিউজিল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়ায় ঢিমেতালে ব্যাট করে চাপে পড়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কাইল জেমিসনের করা ২৬ তম ওভারে উইল ইয়ংয়ের হাতে ক্যাচ দিয়ে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে কিসি কার্টি যখন ফিরছিলেন, সফরকারীদের স্কোবোর্ডে তখন উঠেছে ৮৭ রান। ৩২ রান করতেই ৬৭ বল খেলেন এই ব্যাটার। ৫০ স্ট্রাইকরেটে ৫৮ বলে ২৯ রান করেন আলিক আথানেজ। ৯ বল খেলা জন ক্যাম্পবেলের ব্যাট থেকে আসে ৪ রান।
উপরের সারির ব্যাটারদের টেস্ট মেজাজি ব্যাটিংয়ের চাপ সামলে আর শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিততে পারেনি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। শেরফানে রাদারফোর্ড, শাই হোপ, রোমারিও শেফার্ড, জাস্টিন গ্রিভসদের ব্যাটে আশা বেঁচে ছিল। কিন্তু শেষ হাসি হাসতে পারেনি তারা। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে সমীকরণ ছিল ৬১ রানের।
গ্রিভস ও শেফার্ড লড়াই চালিয়ে ম্যাচ টেনে নেন শেষ ওভারে। তবে জ্যাকব ডাফির করা শেষ ওভারে ২০ রানের সমীকরণ মেলাতে পারেননি তাঁরা। সে ওভার থেকে ১২ রান তুলতে পেরেছে অতিথিরা। ২৪ বলে ৩৮ রান করেন গ্রিভস। ২৬ রান আসে শেফার্ডের ব্যাট থেকে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে সর্বোচ্চ ৫৫ রান করেন রাদারফোর্ড। ৩৭ রান এনে দেন হোপ। ৫২ রানে ৩ উইকেট নেন জেমিসন।
এর আগে ড্যারেল মিচেল ও ডেভন কনওয়ের ব্যাটে ভর করে এই পুঁজি পায় নিউজিল্যান্ড। ১১৮ বলে ১২ চার, দুই ছক্কায় ১১৯ রান করেন মিচেল। কনওয়ে খেলেন ৪৯ রানের ইনিংস। ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৪১ রান খরচায় জেডন সিলসের শিকার ৩ উইকেট। ২ ব্যাটারকে ফেরান ম্যাথু ফোর্ড।