ওয়ানডেতে গত কয়েক বছর ধারাবাহিক পারফর্ম করা বাংলাদেশ ছন্দ হারিয়েছে এ বছর। ব্যাটারদের ব্যর্থতায় অনেক ম্যাচেই পুরো ৫০ ওভারের আগে অলআউট হয়েছে। ব্যাটারদের উল্টো চিত্র দেখা যাচ্ছে বাংলাদেশের বোলারদের। বাংলাদেশের পেস আক্রমণকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন তাসকিন আহমেদ। একই সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান, হাসান মাহমুদের মতো পেসাররা আছেন দারুণ ছন্দে। কয়েক দিন আগে অভিষেক হওয়া তানজিম হাসান সাকিবও নজর কেড়েছেন। স্পিনে সাকিব আল হাসান, মেহেদী হাসান মিরাজরা ভেলকি দেখিয়েই যাচ্ছেন। তবে ২০২৩ বিশ্বকাপের সম্ভাব্য বোলারদের তালিকায় বাংলাদেশের কাউকে রাখেনি উইজডেন।
আহমেদাবাদের নরেন্দ্র মোদি স্টেডিয়ামে বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড-নিউজিল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে ২০২৩ ওয়ানডে বিশ্বকাপ। যেখানে ১২ বছর পর উপমহাদেশে হচ্ছে বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপে ভালো খেলার সম্ভাবনা রয়েছে এমন ছয় বোলারের নাম প্রকাশ করেছে উইজডেন। ছয় বোলারের মধ্যে পাঁচজনই পেসার। একমাত্র স্পিনার হিসেবে আছেন কুলদীপ যাদব।
ফর্মে থাকলে কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন, তা এ বছর দেখাচ্ছেন কুলদীপ যাদব। ওয়ানডেতে ২০২৩ সালে নিয়েছেন ৩৩ উইকেট, যা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। সর্বোচ্চ ৪৩ উইকেট এ বছর নিয়েছেন সন্দীপ লামিচানে। তবে এ বছর বিশ্বকাপে খেলা বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট কুলদীপের।
নতুন বলে শাহিন শাহ আফ্রিদি কতটা কার্যকর, তা তো সবারই জানা। বিশেষ করে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে প্রথম পাওয়ারপ্লেতে উইকেট নেওয়ায় তিনি সিদ্ধহস্ত। এ বছর ১২ ওয়ানডে খেলে নিয়েছেন ২৪ উইকেট। যেখানে এবার ভারতের বিপক্ষে এশিয়া কাপে ৪ উইকেট নিয়েছেন, যার মধ্যে বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা—ভারতের অন্যতম সেরা দুই ব্যাটারকে অসাধারণ ডেলিভারিতে বোল্ড করেছেন।
১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩। কলম্বোর প্রেমাদাসার বিকেলটা শ্রীলঙ্কান দর্শক স্মৃতির পাতা থেকে মুছতে চাইলেও যে পারবেন না। শ্রীলঙ্কার ইনিংসে রীতিমতো ভূমিকম্প ঘটিয়েছেন। ২১ রানে ৬ উইকেট নিয়ে রেকর্ড বই ওলট-পালট করে দিয়েছেন। একের পর এক উইকেট নিয়ে সেদিন ‘ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো’ বনে গেছেন সিরাজ।
নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে গতকাল হ্যাটট্রিক করে বিশ্বকাপের আগমনী বার্তা দিয়েছেন মিচেল স্টার্ক। তিরুবনন্তপুরমে ডাচ ওপেনার ম্যাক্স ও ডাউডকে এলবিডব্লিউ করে শুরু। এরপর ওয়েসলি বারেসি, বাস ডি লিডি দুই ডাচ ব্যাটারকে বোল্ড করে গা গরমের ম্যাচেই করেছেন হ্যাটট্রিক। ২০১৫, ২০১৯ দুই বিশ্বকাপে ১৮ ম্যাচ খেলেই নিয়েছেন ৪৯ উইকেট। ৪.৬৪ ইকোনমিই প্রমাণ করে ব্যাটারদের কতটা ভোগাতে পারেন তিনি। ঘরের মাঠে ২০১৫ বিশ্বকাপে ২২ উইকেট নিয়ে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এই বাঁহাতি পেসার। আর ২৭ উইকেট নিয়ে গত বিশ্বকাপের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি।
৩৯ উইকেট নিয়ে নিউজিল্যান্ড বোলারদের মধ্যে বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেট ট্রেন্ট বোল্টের, যার মধ্যে ২০১৫ বিশ্বকাপে স্টার্কের সঙ্গে ২২ উইকেট নিয়ে যৌথ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন বোল্ট। গত বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে করেছেন হ্যাটট্রিক। আর সেমিফাইনালে নিয়েছেন বিরাট কোহলির গুরুত্বপূর্ণ উইকেট।
চোটে পড়ায় প্রায় এক বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে ছিলেন জাসপ্রীত বুমরা। ২০২৩ এশিয়া কাপ দিয়ে ফিরেছেন তিনি। ফিরেই দেখানো শুরু করলেন তাঁর পুরোনো ঝলক। বৈচিত্র্যময় বোলিংয়ে ডেথ ওভারে ব্যাটারদের রান আটকাচ্ছেন দারুণভাবে।