ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে মোহামেডানের অধিনায়ক তাওহীদ হৃদয়ের দুই ম্যাচ নিষেধাজ্ঞার শাস্তি আপিলে এক ম্যাচে কমিয়ে আনার ঘটনায় সমালোচিত হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বিষয়টি নিয়ে বোর্ডের দুই গুরুত্বপূর্ণ বিভাগ সিসিডিএম (ক্রিকেট কমিটি অব ঢাকা মেট্রোপলিস) ও আম্পায়ার্স কমিটির টেকনিক্যাল কমিটি একে অন্যকে দোষারোপ করছে।
এ ঘটনায় বিসিবির ভেতরে তৈরি হয়েছে জটিলতা ও স্ববিরোধিতা। কেউ স্পষ্টভাবে দায়িত্ব নিচ্ছে না। অভিযোগ উঠেছে, একটি বিশেষ ক্লাবকে সুবিধা দিতে লিগের শেষ দিকে এসে ক্রিকেটারদের জন্য প্রণীত আচরণবিধির ধারা বদলে ফেলা হয়েছে। এতে দুই বিভাগে দেখা দিয়েছে অস্বস্তি। এমনকি টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক, আইসিসি প্যানেলভুক্ত সাবেক আম্পায়ার এনামুল হক মনি বিষয়টি নিয়ে বিব্রত হয়ে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বলে খবর ছড়িয়েছে। এ ব্যাপারে মনি কোনো মন্তব্য করেননি।
টেকনিক্যাল কমিটির মনির জায়গায় এখন সিনিয়র ম্যাচ রেফারি ও বিসিবির টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য রকিবুল হাসানকে দায়িত্ব দেওয়ার চিন্তা করা হচ্ছে। তবে তাঁর এই নিয়োগ নিয়েও দোটানায় রয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
বিসিবির আম্পায়ার্স ও মিডিয়া কমিটির চেয়ারম্যান ইফতিখার আহমেদ মিঠু গতকাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘হৃদয়ের শাস্তির বিষয়টি কোড অব কনডাক্ট অনুযায়ী হয়েছে। ম্যাচ রেফারির প্রতিবেদন অনুযায়ী শাস্তি দেওয়া হয়েছিল। মোহামেডান আবেদন করেছিল শাস্তি কমাতে। তারা বোর্ডের শীর্ষ মহলে চাপ প্রয়োগ করে ক্রিকেটার সংকটের অজুহাতে। কিন্তু একজন নিষিদ্ধ ক্রিকেটারকে খেলাতে কোড অব কনডাক্ট পরিবর্তন করা হলে, সেটি ভালো উদাহরণ হতে পারে না।’
লিগ কমিটি সিসিডিএমের প্রধান সালাহউদ্দিন চৌধুরীও বিষয়টি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘হৃদয়ের শাস্তি কমানো নিয়ে চাপ ছিল। আমি শুরু থেকে এই সিদ্ধান্তের বিপক্ষে ছিলাম। লিগের শেষ সময়ে এসে কোড অব কনডাক্ট পরিবর্তন করে শাস্তি কমানোর সিদ্ধান্ত লিগ পরিচালনায় অস্বস্তি তৈরি হয়েছে। যেটা হয়েছে, সেটা সম্মিলিত সিদ্ধান্ত হলেও সেটা আমার বা আমার কমিটির সিদ্ধান্ত ছিল না। এখন সামনে লিগের যে কয়টা ম্যাচ আছে শেষ হলে বেঁচে যাই!’