বাংলাদেশের হয়ে চারবার ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলেছেন মাশরাফি। ২০১৫ সালে তাঁর নেতৃত্বেই বাংলাদেশ প্রথমবার কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয়। অথচ ঠিক এর আগের বিশ্বকাপটাই খেলা হয়নি তাঁর!
২০১১ বিশ্বকাপে জেমি সিডন্স ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান কোচ। ঘরের মাঠে সেই বিশ্বকাপে দলে ঠাঁই হয়নি মাশরাফির। দল থেকে বাদ পড়ায় সংবাদমাধ্যমের সামনেই কান্নায় ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। তাঁর চোখের জল নাড়া দিয়েছিল দেশের ক্রিকেট অনুরাগীদের।
তখন ফিটনেসের কারণ দেখানো হলেও মাশরাফি পরে জানিয়েছিলেন, কোচ সিডন্সই দলে চাননি তাঁকে। সিডন্সের সঙ্গে তিক্ত স্মৃতি থাকলেও এক যুগ পর তাঁকে দেখে সেই কষ্ট ভুলে গেছেন দেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সফলতম অধিনায়ক।
২০১১ সালে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করা সিডন্স এবার ফিরেছেন নতুন ভূমিকায়। তাঁকে ব্যাটিং পরামর্শক হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।
নতুন দায়িত্ব পাওয়ার পর সিডন্স বিপিএল দেখতে নিয়মিতই মাঠে আসছেন। ঢাকার পর সিলেটেও ম্যাচ দেখছেন তিনি। এসবের পাশাপাশি ঘুরে-ঘুরে দেখছেন সিলেটের অবকাঠামো। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে মাশরাফির।
২০০৭ সালে প্রথমবার বাংলাদেশের কোচ হয়ে এসেছিলেন সিডন্স। ৪ বছর দায়িত্বকালে অল্প বিস্তর সাফল্যও পেয়েছেন। তবে প্রধান কোচের চেয়ে ব্যাটিং কোচ হিসেবে তাঁর প্রশংসা করেছিলেন তখনকার ক্রিকেটাররা। সম্প্রতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দলের চরম ভরাডুবির পর বর্তমান কোচিং স্টাফদের ভূমিকা নিয়ে টেলিভিশন টক শোতে প্রশ্ন তোলেন মাশরাফি। তামিম ইকবালের শোতে গিয়ে সিডন্সকে ব্যাটিং কোচ হিসেবে আনার পক্ষে নিজের মতও দেন তিনি।
বিশ্বকাপের পর তামিম-মাশরাফিদের সঙ্গে পরামর্শ করেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। এর কদিন পরই সিডন্সকে নিয়োগ দেয় বিসিবি।