সেমিফাইনালের টিকিট পেতে শেষ দুই ম্যাচে জয় ছাড়া কোনো বিকল্প নেই নিউজিল্যান্ডের। যার প্রথমটিতে আজ শারজায় নামিবিয়াকে তারা হারিয়েছে ৫২ রানে। কিউইদের এই জয়ে দুশ্চিন্তা বেড়েছে ভারতের। নিজেদের প্রথম দুই ম্যাচ হেরে যাওয়ায় আর নিউজিল্যান্ড চার ম্যাচের তিনটি জেতায় এই দুশ্চিন্তায় পড়তে হচ্ছে ভারতকে। এখন নিজেদের শেষ ম্যাচে আফগানিস্তানের বিপক্ষে জিতলেই সেমিতে পৌঁছে যাবে কিউইরা।
সেক্ষেত্রে নিজেদের শেষ দুই ম্যাচ জিতেও বিদায় বলতে হবে ভারতকে। এদিন নিউজিল্যান্ডের দেওয়া ১৬৪ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দারুণ শুরু করে নামিবিয়া। সুপার টুয়েলভে উঠে সবাইকে চমকে দিয়েছিল বিশ্বকাপের নবাগত দলটি। সেই চমক অব্যাহত থাকে এই পর্বেও। স্কটল্যান্ডকে হারায় তারা। আজও শুরুতেই সেরকম কিছুর ইঙ্গিত দিচ্ছিল দলটি! যদিও সময় যত গড়িয়েছে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়েছে কিউইরা। ৪৭ রানের ওপেনিং জুটির পর ৫৫ রানেই ৩ উইকেট হারায় নামিবিয়া।
দ্রুত উইকেট হারানোর চাপ আর কাটিয়ে উঠতে পারেনি নামিবিয়া। শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি ইয়ান গ্রিন-ডেভিড ভিসেরা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১১১ রান করে নামিবিয়া। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৫ রান করেন মাইকেল ফন লিনগেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে চার ওভারে ১৫ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন টিম সাউদি।
এর আগে টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল নামিবিয়া। ওপেনিংয়ে ডেরিল মিচেলকে নিয়ে ভালো শুরু করলেও ইনিংস বড় করতে পারেননি মার্টিন গাপটিল। আগের ম্যাচে স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে ৯৩ রানের ইনিংস খেলা গাপটিল এদিন ফিরেছেন ১৮ রানে। বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি আরেক ওপেনার মিচেলও। বার্নার্ড শোলৎজের বলে লিনগেনকে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি (১৯)।
৮১ রানে অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকেও হারানোর পর নিউজিল্যান্ডকে ১৬৩ রানের পুঁজি এনে দিয়েছে পঞ্চম উইকেট জুটি। গ্লেন ফিলিপস আর জিমি নিশাম মিলে শাসন করেছেন নামিবিয়ান বোলারদের। দুজনের অবিচ্ছিন্ন জুটি থেকে আসে ৭৬ রান। ফিলিপস অপরাজিত থাকেন ২১ বলে ৩৯ রান করে। ফিলিপসের সঙ্গী বাঁহাতি ব্যাটার নিশাম অপরাজিত থাকেন ২৩ বলে ৩৫ রান করে।