হোম > খেলা > ক্রিকেট

আইরিশদের বিপক্ষে সিরিজ বাঁচানোর লড়াই

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎

দ্বিতীয় টি–টোয়েন্টিতে মাঠে নামবে বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। ছবি: বিসিবি

ঘরের মাঠে প্রতিপক্ষ আয়ারল্যান্ড। সহজ প্রত্যাশা ছিল সিরিজ জয়। জয়ের সুযোগ এখনো হাতছাড়া হয়ে যায়নি, কিন্তু প্রথম ম্যাচ বাজেভাবে হেরে যাওয়ায় দ্বিতীয় ম্যাচের আগে সিরিজ বাঁচানোর চাপ দলের ওপর। চট্টগ্রামের বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি আজ। সিরিজ হার এড়াতে আজ জিততেই হবে লিটনদের।

একই ভেন্যুতে হওয়া প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাজেভাবে হেরেছে বাংলাদেশ। ১৮২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় শুধু তাওহীদ হৃদয় ছাড়া কেউই ব্যাটিংয়ে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারেননি। পাঁচে ব্যাটিংয়ে এসে হৃদয় ৫০ বলে ৮৩ রান করে অপরাজিত থাকলেও সেটা দলের পরাজয় কমিয়ে আনা ছাড়া কোনো কাজে আসেনি। এর আগে ঘরের মাঠেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজে ধবলধোলাই হয়েছে বাংলাদেশ। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে দলের ‘শেষ’ আন্তর্জাতিক সিরিজে যখন পারফরম্যান্স গ্রাফটা ঊর্ধ্বমুখী হওয়ার কথা, তখনই তা নিম্নমুখী! অথচ এই দলই ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে শ্রীলঙ্কার মাটিতে শ্রীলঙ্কা, ঘরের মাঠে পাকিস্তান ও নেদারল্যান্ডস এবং আরব আমিরাতে আফগানিস্তানের বিপক্ষে টানা চারটি টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতেছে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজের আগে ঘরের মাঠে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জিং পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার কথা জানিয়েছিলেন অধিনায়ক লিটন দাস। বিশ্বকাপে এমন পরিস্থিতিতে পড়লে যাতে উতরানোটা সহজ হয়, তা মাথায় রেখেই সেটি বলেছিলেন তিনি। কিন্তু ক্যারিবীয়দের কাছে ধবলধোলাই হওয়ার পর আয়ারল্যান্ড সিরিজে ঘুরে দাঁড়াতে না পারলে উল্টো না সেটি দলের আত্মবিশ্বাস নাড়িয়ে দেয়!

এমনই কঠিন পরিস্থিতিতে আজ ঘুরে দাঁড়ানোর লড়াই লিটন-জাকের-হৃদয়দের। ঘুরে দাঁড়াতে পারবে বাংলাদেশ? ঘুরে দাঁড়ানোর কথাই বললেন তাওহীদ হৃদয়। প্রথম ম্যাচ শেষে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। বললেন, ‘টি-টোয়েন্টি ছন্দ ধরে রাখার খেলা। পরের ম্যাচ থেকেই আমরা কামব্যাক করব ইনশা আল্লাহ।’

তো প্রথম টি-টোয়েন্টিতে পরাজয়ের কারণ কী? ১৮২ রানের লক্ষ্য তাড়ায় পাওয়ার প্লেতেই ৪ উইকেট হারিয়ে দিগভ্রষ্ট হয়েছে বাংলাদেশ। আর সেটার জন্য বাজে শট সিলেকশন কতটা দায়ী? হৃদয় বললেন, ‘লক্ষ্য যখন ১৮০+ রান, তখন শটস আপনাকে খেলতেই হবে।’ তবে হৃদয় মেনে নিচ্ছেন, ‘এদিন পরিকল্পনামতো আমরা খেলতে পারিনি। পারলে, ভালো কিছু হতে পারত।’ তবে এটা খেলারই অংশ জানিয়ে বাঁচা-মরার দ্বিতীয় ম্যাচের আগে হৃদয়ের প্রতিশ্রুতি, ‘আশা করি সামনের ম্যাচেই ঘুরে দাঁড়াতে পারব আমরা।’

বড় লক্ষ্য তাড়ায় যদি কারও বড় ইনিংস নাও হয়, তাহলে জয়ের কক্ষপথে থাকার জন্য ছোট কিংবা মাঝারি জুটিও দরকার হয়। কিন্তু এদিন প্রথম চারটি জুটিতে রান হয়েছে—২,২, ১ ও ১৩! ১৮ রানে পাঁচ উইকেট খুইয়ে ফেলার পর জাকের আলীকে নিয়ে হৃদয় ৪৮ রানের জুটি গড়ে তুলেছিলেন। ম্যাচে থাকার জন্য সেই জুটি আরও বড় হওয়া দরকার ছিল বলে মনে করেন হৃদয়, ‘যদি বড় জুটি হতো, তাহলে ম্যাচটা অন্যরকম হতে পারত। কারণ খেলাটা আসলে আমরা খুব বেশি রানের ব্যবধানে হারিনি। আমি আর জাকের আলী যখন ব্যাট করছিলাম, তখন ৭০-৮০ রানের জুটি হলে ম্যাচে ভিন্ন কিছু হতে পারত।’

না হওয়ার বড় কারণটা কিন্তু আইরিশদের ভালো খেলা। হৃদয়ের অকপট স্বীকারোক্তি, ‘ওরা ভালো খেলেছে, আমরা ভালো খেলতে পারিনি।’

আজ সিরিজ বাঁচানোর লড়াইয়ে যখন ‘ভালো খেলাটা’ জরুরি, তখনই কি খোলসবন্দী হয়ে থাকবেন লিটনরা!

রেকর্ড গড়ে ১০ হাজারি ক্লাবে স্মৃতি মান্ধানা

১৩ দিনেই শেষ ৪ টেস্ট, অস্ট্রেলিয়ার ক্ষতি ২০৫ কোটি

বিপিএল খেলেই পাকিস্তানে পরিচিত পেয়েছেন নাফি

শান্ত এবার ‘জবাব’ দিচ্ছে, বলছেন রাজশাহীর কোচ

মাথায় আঘাত পেয়ে হাসপাতালে শরীফুল, এখন কী অবস্থা

‘মোস্তাফিজ খুবই আন্ডাররেটেড’

বিদেশের লিগে বাংলাদেশের আরও ক্রিকেটার চান মোস্তাফিজ

চমক দেখিয়ে শ্রীলঙ্কা সিরিজের দল ঘোষণা পাকিস্তানের

সিলেটের কাছে নোয়াখালী কোথায় হারল, অঙ্কনের ব্যাখ্যা

সাঙ্গাকারার টোটকাতেই সাকিবের বাজিমাত