বাংলাদেশের বিপক্ষে গতকাল দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেই হয়তো অলআউট হতে পারত জিম্বাবুয়ে। কারণ, বীরশ্রেষ্ঠ শহীদ ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মতিউর রহমান স্টেডিয়ামে দিনের শেষভাগে এসে বাংলাদেশের বোলিংয়ে হাঁসফাঁস করছিল জিম্বাবুয়ে। তবে সফরকারীদের অলআউট করতে বেশি সময় লাগেনি বাংলাদেশের।
প্রথম দিনে পুরো ৯০ ওভারই খেলা হয়েছিল। জিম্বাবুয়ে ৯ উইকেটে ২২৭ রানে শেষ করেছিল দিনের খেলা। সেখান থেকে আরও ৪০-৫০ রান যোগ করার আশার কথা শুনিয়েছিল সফরকারীরা। কিন্তু তাইজুল ইসলাম সেটা হতে দেননি। আজ দ্বিতীয় দিনের প্রথম বলেই জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ইতি টানলেন তিনি।
জিম্বাবুয়ের ইনিংসের ৯১তম ওভারের প্রথম বলে ব্লেসিং মুজারাবানিকে ফিরিয়েছেন তাইজুল। কাট করতে গিয়ে মুজারাবানি ধরা পড়েন উইকেটরক্ষক জাকের আলী অনিকের হাতে। তাতে ৯০.১ ওভারে ২২৭ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। জিম্বাবুয়ের দুই ব্যাটার নিকোলাস ওয়েলচ (৫৪) ও শন উইলিয়ামস (৬৭) ফিফটি করেছেন। আর ইনিংসে বাংলাদেশের সেরা বোলার তাইজুল ২৭.১ ওভারে ৬০ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন। টেস্টে এই নিয়ে আটবার ইনিংসে ৬ বা বেশি উইকেট নেওয়ার কীর্তি গড়লেন বাংলাদেশের এই বাঁহাতি স্পিনার।
ব্যাটিংয়ে নেমে সাবলীলভাবে খেলছেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার সাদমান ইসলাম ও এনামুল হক বিজয়। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ৫ ওভারে কোনো উইকেট না হারিয়ে স্বাগতিকেরা করেছে ২১ রান। বাংলাদেশের ইনিংসে এরই মধ্যে তিনটি চার হয়েছে। সাদমান ও বিজয় ৯ ও ১২ রানে ব্যাটিং করছেন।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে সর্বোচ্চ উইকেট নেওয়ার রেকর্ডে তাইজুল এরই মধ্যে ভেঙে দিয়েছেন ওয়াসিম আকরামের রেকর্ড। আফ্রিকা মহাদেশের এই দলের বিপক্ষে ক্রিকেটের রাজকীয় সংস্করণে ৪৯ উইকেট নিয়ে তাইজুল আছেন তিনে। এই তালিকায় চার ও পাঁচে থাকা চামিন্দা ভাস ও ওয়াসিম আকরামের রেকর্ড ৪৮ ও ৪৭। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে সর্বোচ্চ দুই উইকেটশিকারি মুত্তিয়া মুরালিধরন ও ওয়াকার ইউনিস নিয়েছেন ৮৭ ও ৬২ উইকেট।