দক্ষিণ আফ্রিকানদের কাছে ব্যাপারটা অবিশ্বাস্য ঠেকার কথা। তা ঠেকছেও। আগের সিরিজেই তারা ভারতের মতো দলকে ধবলধোলাই করেছে। ব্যাটিং-বোলিং-ফিল্ডিং তিন বিভাগেই কোহলি-বুমরাহদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে লড়েছে প্রোটিয়ারা। কিছু ক্ষেত্রে তাঁদের চেয়ে এগিয়ে ছিল বলেই তিন ওয়ানডের তিনটিতেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টেম্বা বাভুমার দল।
সেই একই দলটা বাংলাদেশের বিপক্ষে কেমন অচেনা। নিজের দলকে চিনতে কষ্ট হচ্ছে অধিনায়ক বাভুমারও। ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে অবিশ্বাস দেখা গেল বাভুমার চোখে-মুখে। নিজেকে প্রশ্ন করেও দলের হতশ্রী পারফরম্যান্সে কোনো উত্তর পাননি প্রোটিয়া অধিনায়ক। ম্যাচের সঙ্গে সিরিজ হারের ব্যাপারটা যে অধিনায়ক হিসেবে তাঁর হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে, মুখ ফুটে না বললেও অসহায়ত্বে বোঝা গেল।
অধিনায়কের মতো না হলেও সিরিজ হারের পর স্বাভাবিকভাবে হতাশ প্রোটিয়া কোচ মার্ক বাউচার। সেঞ্চুরিয়নে গতকাল কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতাই গড়ে তুলতে পারেনি তাঁর শিষ্যরা। খেলোয়াড়দের মানসিকতায় ঘাটতি ছিল মনে করেন বাউচার, ‘আজকে আমাদের মানসিকতায় ঘাটতি ছিল। আমরা ভালো একটা শুরুর পর খোলসবন্দী হয়ে পড়ি। নিশ্চিতভাবেই আমরা এমন খেলতে চাই না। ভালো শুরু পাওয়ার পর আমরা খেলা আরও এগিয়ে নিতে চেয়েছিলাম। কিন্তু আমরা সেটি করতে পারিনি।’
উইকেট বড় রানের ছিল জানিয়ে বাউচার আরও বলেন, ‘আমরা ভালো বোলিং করেছি। কিন্তু ব্যাটিংয়ের ক্ষেত্রে যেটা হয়েছে, রান তোলার সুযোগ তৈরি করতে মাঝে মাঝে ঝুঁকি নিতে হয়। অথচ একটা সংগ্রহ দাঁড় করানোর ভাবনার বদলে আমরা আউট হওয়া নিয়ে ভয়ে ছিলাম। উইকেট ৩০০-এর বেশি রানের ছিল।’