নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে মেহেদী হাসান মিরাজের বন্ধুত্ব বেশ পুরোনো। বলা যায়, বয়সভিত্তিক ক্রিকেট থেকেই। অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে মিরাজের নেতৃত্বেই খেলেছেন শান্ত। ঘরের মাঠে ২০১৬ সালের যুব বিশ্বকাপেও শান্তর অধিনায়ক ছিলেন মিরাজ। ২০২৪ সালে এসে শান্ত হয়েছেন তিন সংস্করণে বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক। তাঁর নেতৃত্বে খেলছেন মিরাজরা।
শান্ত পূর্ণকালীন অধিনায়কত্ব পাওয়ার আগে যখন অন্তর্বর্তীকালীনও ছিলেন, তখন থেকেই দেখা যায় বোলিংয়ে রিভিউ নেওয়ার জন্য তাঁকে একটু বেশি চাপ কিংবা উৎসাহিত করেন মিরাজ। দুজনের বন্ধুত্বের কথা অনেকেই জানেন। এখন ম্যাচে বিভিন্ন সিদ্ধান্তে তাঁদের মধ্যে কেমন আলোচনা হয়, নিজের বোলিংয়ের সময় রিভিউ নিতে শান্তকে একটু প্রেশারই দিয়ে থাকেন কি না মিরাজ—এমন প্রশ্নে চওড়া হাসিতে মিরাজ বললেন, ‘শান্ত আমার কথা একটু বেশি শোনে।’ তখন সংবাদ সম্মেলনে মিরাজের পাশের চেয়ারে বসা নাফিস ইকবাল হাসিতে মাথা গুঁজে দিয়েছেন টেবিলের ওপর।
শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের শেষ ওয়ানডের আগে সংবাদ সম্মেলনে মিরাজ বললেন, ‘ওকে (শান্তকে) সহায়তা করার জন্য সবাই আছে, আমরা সবাই তাকে সহায়তা করছি। মুশফিক ভাই, রিয়াদ ভাই, লিটন দা সবাই অনেক সমর্থন করছে। আমার সঙ্গে যখন আলোচনা হয়, বোলিং নিয়ে কথা বলি, কীভাবে করলে ভালো হয়। ফিল্ড সেটআপ নিয়ে কথা বলি। সবার সঙ্গেই কথা বলে, এই জিনিসটা ভালো।’
রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে অধিনায়ক শান্তকে একটু বেশি চাপ দেওয়ার কথা অবশ্য স্বীকারই করে নিলেন মিরাজ হাসিমুখে, ‘(হাসি) চাপ না, আমি চেষ্টা করি ওকে সমর্থন দেওয়ার জন্য। শুধু আমি একাই না, সবাই দেওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু ও আমার কথা একটু বেশি শোনে।’