মধ্যহ্নভোজের বিরতির পর বাংলাদেশ আর টিকতে পারল ৭.৫ ওভার। স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারে ২৭ রান। টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে অলআউট ১০৩ রানে। ইনিংসের সর্বোচ্চ ৫১ রান আসে সাকিব আল হাসানের ব্যাট থেকে। তাঁকে সঙ্গ দিতে পারেননি আর কোনো ব্যাটার। ব্যাটিংয়ে নেমে এখন পর্যন্ত ১ উইকেট হারিয়ে ৪৪ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
এই উইকেটে যেভাবে খেলতে হয় ঠিক সেভাবে খেললেন দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার। ধর্যের চুড়ান্ত পরীক্ষা দিয়েছেন অধিনায়ক ক্রেগ ব্রাথওয়েট আর জন ক্যাম্পবেল। দলীয় ৪৪ রানে মোস্তাফিজুর রহমানের আঘাতে ভাঙে এ জুটি। ৭২ বলে ২৪ রান করে আউট হন ক্যাম্পবেল। তাঁর সঙ্গী ব্রাথওয়েট অপরাজিত আছেন ১৪ রানে। দারুণ আঁটসাঁট বোলিং করেছেন বাংলাদেশ বোলাররা।
এর আগে ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারানো বাংলাদেশকে প্রতিরোধের আশা দেখায় সাকিব-মিরাজ জুটি। কিন্তু মধ্যহ্নভোজের বিরতির পর প্রথম ওভারে আউট হন মিরাজ। জেইডেন সিলসের লেগ স্টাম্প দিয়ে প্রায় বেরিয়েই যাচ্ছিল। সেটা তাড়া করতে গিয়ে উইকেট কিপার জশুয়া ডি সিলভার গ্লাভস বন্দি হন এ অলরাইন্ডার। ৭৭ রানে ৬ উইকেট নেই, এমন অবস্থায় মিরাজ ওই বল কেন তাড়া করতে গেলেন, সেটার ব্যাখ্যা তিনিই ভালো দিতে পারবেন।
তবে অপরপ্রান্তে সাকিবের ব্যাট ছুড়ে মারার মতো অভিব্যক্তিই বলে দিচ্ছিল, মিরাজের শটটা সময়োযোগী ছিল না। দুজনের ৩২ রানের জুটি বাংলাদেশের ইনিংসের সর্বোচ্চ। মিরাজের বিদায়ের পর আর বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি বাংলাদেশ। এর মধ্যে তৃতীয় মেয়াদে অধিনায়কত্ব পাওয়ার প্রথম ম্যাচে ফিফটি তুলে নেন সাকিব। তাঁর ৬৪ বলে ফিফটির ইনিংসটি শেষ হয় ৫১ রানে।