উইকেট দেখে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন বাংলাদেশ অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। প্রতিপক্ষ আফগানিস্তান অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী অবশ্য হুংকার দিয়েছিলেন, দ্রুত গুটিয়ে দেওয়ার। প্রতিপক্ষের চ্যালেঞ্জটা নিতে পারেননি বাংলাদেশ ওপেনাররা। পাওয়ার প্লেতেই তিন উইকেট বিলিয়ে দিয়েছেন তারা।
আজ শারজা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং করছে বাংলাদেশ। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের স্কোর ৭.১ ওভারে ৪ উইকেটে ৩১ রান।
ইনিংসের শুরু থেকে বেশ নড়বড়ে দেখা যায় ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ও এনামুল হক বিজয়কে। দু’জনের জুটিটা স্থায়ী হয়নি। যে নাঈমকে ঘিরে আশার কথা বলেছিলেন টেকনিক্যাল কনসালট্যান্ট শ্রীধরন শ্রীরাম, সেই নাঈম ফেরেন ব্যক্তিগত ৬ রানে। স্পিনার মুজিব উর রহমানের সোজা বলে বোল্ড হন তিনি।
দলীয় ১৩ রানের মাথায় ফেরেন আরেক ওপেনার বিজয়। মুজিবের নিচু হয়ে আসা ডেলিভারি আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে ব্যাট মিস করেন তিনি। আম্পায়ার আসিফ ইয়াকুব অবশ্য শুরুতে আউট দেননি। মুজিব উৎসাহী ছিলেন শুরু থেকেই, তবে নবী রিভিউ নেন একেবারে শেষ মুহূর্তে গিয়ে। সফলও হলো আফগানিস্তান। মুজিবের দ্বিতীয় শিকার হলেন বিজয়।
ইনিংসের পঞ্চম ওভার করতে আসা নতুন বোলার নবীন উল হককে পরপর দুটি চার মেরে দারুণ কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। তবে নিজের শততম টি-টোয়েন্টিটা রাঙাতে পারেননি বাংলাদেশ অধিনায়ক। মুজিবের সোজা ডেলিভারি বুঝতে পারেননি তিনিও। ১১ রান করে বোল্ড হয়ে ফেরেন সাকিব। কিছুক্ষণ পরই ফেরেন মুশফিকুর রহিম। রশিদ খানের বলে প্যাডঅন হন তিনি।