দেশে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রস্তুতির পর আগামী পরশু সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাবে বাংলাদেশ দল। নতুন অধিনায়ক লিটন দাসের নেতৃত্বে স্বাগতিকদের সঙ্গে দুটি টি-টোয়েন্টি খেলবে তারা। তারপরই পাকিস্তান সফরের কথা। প্রথম অ্যাসাইনমেন্টের আগে নতুন অধিনায়ক লিটন জানিয়েছেন, কুড়ি ওভারের সংস্করণে ভালো করতে হলে ডট বলের সংখ্যা কমাতে হবে। সেভাবে তাঁরা প্রস্তুতিও নিচ্ছেন।
নিজেদের সবশেষ টি-টোয়েন্টি সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ধবলধোলাই করেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু তিন ম্যাচের সিরিজে ৪৩ শতাংশের বেশি বল থেকে কোনো রান আদায় করতে পারেনি বাংলাদেশ। গত বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ৪৮ শতাংশ বল ডট দিয়েছে তারা। সংক্ষিপ্ত সংস্করণে ডট বল কমানোর জন্য দক্ষতা ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে গত কদিন ধরে ক্লোজ ডোরে তাই চলছে লিটনদের ডট বল কমানো, পাওয়ার হিটিং অনুশীলন। অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর আজই প্রথম সংবাদ সম্মেলনে কথা বললেন। সেখানেই বললেন টি-টোয়েন্টিতে ভালো করতে দক্ষতা বাড়াচ্ছেন তাঁরা, ‘টানা আন্তর্জাতিক খেলা থাকলে স্কিল উন্নতির সময় তেমন পাওয়া যায় না। ম্যাচের পর ম্যাচ খেলতে থাকলে, ম্যাচের ইন্টেন্সিটির কারণে স্কিলের কাজটা করার সুযোগ হয় না। তাই এটা একটা বাড়তি সুযোগ যে, আমরা অনেক দিন ধরে স্কিল নিয়ে কাজ করছি।’
ডট বল কমানোর ব্যাপারে লিটন বলেন, ‘স্কিল মানেই এই না যে...অবশ্যই পাওয়ার হিটিং চলছে, এর সঙ্গে কীভাবে কী...টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সবাই জানি বড় শট খেলতে হয়। একই সঙ্গে যে যত (কম) ডট বল খেলতে পারে, তাদের জন্যই কিন্তু সুবিধা। তাই দুটি দিক নিয়েই কাজ করছি।’
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট যেহেতু দ্রুত সময়ের খেলা। ভারত-ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মতো দলগুলো তাদের ক্রিকেট ব্যান্ড যেন টি-টেন পর্যায়ে নিয়ে গেছে। ২০ ওভারে আড়াই শ রান করছে মুড়িমুড়কির মতো। লিটন জানালেন, কোনো নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের ক্রিকেট না খেলে ক্রিকেটারদের কাছে নির্দিষ্ট ম্যাচ অনুযায়ী পারফরম্যান্সের আশা।
নতুন অধিনায়ক বললেন, ‘ব্র্যান্ডেড ক্রিকেট (খেলব), আমি এটা বলব না। আমি যেভাবে চিন্তা করছি, কোনো কোনো ম্যাচে ১৮০-২০০ রান তাড়া করতে হতে পারে। কোনো ম্যাচে ১৪০-১৪৫ তাড়া করতে হবে। কীভাবে খেললে ম্যাচটা জিততে পারি, সেটা মূল লক্ষ্য। হতে পারে কেউ এক ম্যাচে ২০ বলে ৪০ রান করল, আবার একই ব্যাটসম্যানের পরের দিন ২০ বলে ১৫ রানও করতে হতে পারে।’
লিটনের চাওয়া সব ম্যাচেই যেন দলের প্রত্যেক ক্রিকেটার অবদান রাখে, ‘আমি চাই, প্রতিটা ক্রিকেটার যেন ম্যাচে সম্পৃক্ত থাকে। তারা যেন বোঝে, ওই ম্যাচে তার কাছে দলের চাহিদা কী। আমার মতে, কোনো নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের ক্রিকেট খেলার চেয়ে, প্রতিটা ক্রিকেটার যদি বোঝে যে দল আমার কাছে এই জিনিসটা চাচ্ছে, তাহলে আমাদের ফল বেশি আসবে।’