ভারত-শ্রীলঙ্কায় আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি-মার্চে মাঠে গড়াবে দশম টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। আইসিসির এই টুর্নামেন্টের আগে কন্ডিশনের সঙ্গে ঝালিয়ে নিতে ভারতে এসে সীমিত ওভারের ক্রিকেটের সিরিজ খেলবে নিউজিল্যান্ড। কিন্তু এই সিরিজে কিউই তারকা ক্রিকেটার ফিন অ্যালেনের খেলা নিয়ে রয়েছে শঙ্কা।
১১ থেকে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ। সেই সিরিজ শেষে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে মুখোমুখি হবে। ২১ জানুয়ারি হবে প্রথম টি-টোয়েন্টি। এখনো অনেক দেরি হলেও বিগ ব্যাশের কারণে খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তায় অ্যালেন। বিগ ব্যাশে পার্থ স্করচার্চের হয়ে খেলেন তিনি। ১৪ ডিসেম্বর উদ্বোধনী ম্যাচে মুখোমুখি হবে পার্থ স্করচার্চ-সিডনি সিক্সার্স। লিগ পর্বে পার্থের শেষ ম্যাচ ১৭ জানুয়ারি মেলবোর্ন স্টার্সের বিপক্ষে। কিন্তু প্লে অফের চার ম্যাচ হবে ২১ থেকে ২৫ জানুয়ারি। ফাইনাল হবে ২৫ জানুয়ারি। পার্থ প্লে অফে উঠলেই ভারত-নিউজিল্যান্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজের সঙ্গে সেটা সাংঘর্ষিক হবে।
পার্থ স্করচার্চের সঙ্গে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হওয়ার কারণেই মূলত বিগ ব্যাশ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ভারত সিরিজ খেলার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে পারছেন না অ্যালেন। নিউজিল্যান্ডের এই বিধ্বংসী ব্যাটার আজ ক্রিকইনফোকে বলেন, ‘পার্থ স্করচার্চের বিগ ব্যাশ শেষ হলেই সোজা ভারতে চলে যাব। নিউজিল্যান্ডের হয়ে ক্রিকেট খেলাটাকে এখনো সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিই। নিউজিল্যান্ডের প্রতিনিধিত্ব করতে পছন্দ করি। তবে ক্রিকেট তো প্রত্যেক বছর বদলাচ্ছে।’
নিউজিল্যান্ডের কেজুয়াল চুক্তিতে স্বাক্ষর করা পাঁচ ক্রিকেটারের একজন অ্যালেন। নিউজিল্যান্ড ক্রিকেটের (এনজেডসি) হাইপারফরম্যান্স সিস্টেমের সঙ্গে থাকেন বলে অনেক সময় জাতীয় দলের ম্যাচ ছাপিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটকে প্রাধান্য দিলেও সেটা তাঁর জন্য ভুল না। তবে অ্যালেন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকেও অনেক বেশি গুরুত্ব সহকারে দেখছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবশেষ তিনি খেলেছেন এ বছরের ২৬ মার্চ ওয়েলিংটনে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে। নিউজিল্যান্ডের জার্সিতে ৫২ টি-টোয়েন্টিতে ২ সেঞ্চুরি ও ৫ ফিফটি করেছেন তিনি। বিশ্বকাপের আগে ২১ থেকে ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে ভারত-নিউজিল্যান্ড পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ।