পাকিস্তানে এবারের এশিয়া কাপ আয়োজন নিয়ে কম জল ঘোলা হয়নি। এমনিতে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অস্থিরতা, নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) জানিয়েছিল, পাকিস্তানে যাবে না ভারত। পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডও (পিসিবি) উল্টো হুমকিতে বলেছিল, এমনটা হলে ভারতে বিশ্বকাপ খেলবে না তারা। দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীকে বোঝাতে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলে (এসিসি) বেশ কয়েকবার বৈঠকও হয়েছে, যার ফসল ‘হাইব্রিড মডেলে’ এশিয়া কাপ, ‘আয়োজক’ পাকিস্তানে নয়, নিরপেক্ষ ভেন্যুতেই পাকিস্তানের মুখোমুখি হবে তারা।
সেই নিরপেক্ষ ভেন্যু শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডির পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ মুখোমুখি দুই ‘চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী’ ভারত-পাকিস্তান। সেটিও প্রায় এক বছর পর। গত বছরের অক্টোবরে মেলবোর্নে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দুই দলের সবশেষ দেখায় জিতেছিল ভারত।
টি-টোয়েন্টিতে জয়ের পাল্লাটা ভারতের ভারী হলেও ওয়ানডেতে কাঁটাটা ঝুঁকেছে পাকিস্তানের দিকে। ১৩২ ম্যাচে তাদের জয় ৭৩টি, ভারতের ৫৫টি। তবে এই সংস্করণে সবশেষ তিন ম্যাচে হেরেছে পাকিস্তান। ওয়ানডেতে দুই দলের দেখা ২০১৯ ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে। চার বছরের বেশি সময় পর আবার নিজেদের মধ্যে দেখা-সাক্ষাতের সুযোগ পাচ্ছেন বিরাট কোহলি-বাবর আজমরা। দুই দেশের রাজনৈতিক সম্পর্কের টানাপোড়েন এবং সীমান্তে যতই সামরিক উত্তেজনা থাকুক না কেন, খেলোয়াড়দের সম্পর্কটা বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ। তবে সেই বন্ধুত্বের ছাপ মাঠের লড়াইয়ে পড়বে বলে মনে হয় না। কারণ, শত্রুপ্রতিম দুই দেশ কেউ কারও কাছে হারতে চায় না।
ওয়ানডেতে দুর্দান্ত ফর্মে আছে পাকিস্তান। আইসিসি র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে তারা, ভারত তিনে। চিরপ্রতিদ্বন্দ্বীদের সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সে মুগ্ধ রোহিত শর্মাও। এমন হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে গতকাল সংবাদ সম্মেলনে ভারত অধিনায়ক মন্তব্য, ‘আমি নিশ্চিত এক নম্বর হওয়ার জন্য পাকিস্তান খুব কঠোর পরিশ্রম করেছে। তারা সীমিত ওভারে খুব ভালো ক্রিকেট খেলছে, তাই আমাদের জন্য ম্যাচটি কঠিন হবে।’