জুলাই মাস জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে শীতলতম মাস, বাংলাদেশে ডিসেম্বরের মতো। দিনের মিঠে রোদে আরামই অনুভূত হয় বেশি। রাত বাড়তে বাড়তে অবশ্য জেঁকে বেসে শীত। জিম্বাবুয়েতে গিয়ে এই রোমান্টিক আবহাওয়াটা পছন্দ হয়েছে দলের সঙ্গে থাকা নির্বাচক আবদুর রাজ্জাকের। এবার ভিন্ন পরিচয়ে দলের সঙ্গে জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়া বিসিবির এই নির্বাচক আজ বলছিলেন, জিম্বাবুয়ের এই আবহাওয়া বড় উপভোগ্য।
জিম্বাবুয়ের আবহাওয়া ভালো লাগলেও উইকেটটা কিন্তু এতটা উপভোগ্য নাও হতে পারে বাংলাদেশের জন্য। নিজের অভিজ্ঞতা থেকেই রাজ্জাক বলছিলেন, ‘এখানকার উইকেট একটু কঠিন। বিশেষ করে স্পিনারদের জন্য। বাকি সবকিছু ক্রিকেটের জন্য ভালো।’
জিম্বাবুয়ে পৌঁছে একদিনের বিশ্রাম শেষে আজ হারারেতে অনুশীলন শুরু করেছেন সাকিব–মুমিনুলরা। জিম্বাবুয়ের কন্ডিশনে সাধারণত পেসাররা বেশি সুবিধা পান। স্পিনারদের জন্য কাজটা কঠিন হলেও স্পিনাররা এখানে ভালো ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন রাজ্জাক, ‘স্পিনাররা রান আটকানো আর বেক–থ্রু এনে দিতে পারে। আর স্পিনারদের জন্য কিছু নেই, এটা মনে করা ঠিক না। যে কোনো ক্রিকেটারকে যে কোনো কন্ডিশনে খেলতে হবে। যে দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে, সেই ভালো খেলোয়াড়।’
জিম্বাবুয়ের মাঠে জিম্বাবুয়ে কঠিন–এটা অধিনায়ক মুমিনুল হক আগেই বলেছেন। রাজ্জাক পুনরায় সেটি মনে করিয়ে দিয়ে মিরাজদের সতর্ক করলেন এভাবে, ‘জিম্বাবুয়ে আমাদের দেশে সফরে গেলে আমরা যেভাবে তাদের দেখি, এখানে এসেও যদি সেভাবে দেখি তাহলে আমি এক শ ভাগ নিশ্চিত আমাদের জন্য সফরটা খুবই কঠিন হবে।’
২০১৩ সালে বাংলাদেশ সর্বশেষ জিম্বাবুয়ে সফরে গিয়েছিল। সেই সফরে ছিলেন রাজ্জাকও। অবশ্য তখন সাকিব আল হাসানের সঙ্গে জুটি বেঁধে উইকেট তুলে নিয়ে বাংলাদেশকে পথ দেখাতেন। আট বছরের আগের সেই দলের তুলনায় এখনকার বাংলাদেশ দলকেই সেরা মানছেন রাজ্জাক। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ভালো করতে তাই আশাবাদী বিসিবির এই নির্বাচক, ‘আগে (২০১৩) দলের যে অবস্থা ছিল, যদি তুলনা করা হয় এখনকার দল আরও ভালো।’
যেহেতু নিজের পেশাগত পরিচয় বদলেছে, খেলোয়াড়িজীবন আর এখনকার অভিজ্ঞতার মধ্যে যে অনেক পার্থক্য, সেটিই অনুভব করছেন রাজ্জাক, ‘এবার আমি এসেছি অফিশিয়াল হিসেবে। এর আগে যতবার জিম্বাবুয়েতে এসেছি, অনুশীলন করেছি, খেলেছি। এখন দেখছি। দেখাটাই আমার কাজ। (কাজের ধরনে) একটু ভিন্ন তো আছে।’