ইংল্যান্ডের সর্বশেষ দুই আইসিসি ইভেন্ট জিততে অবদান রেখেছেন বেন স্টোকস। ২০১৯ বিশ্বকাপ ও ২০২২ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ—দুই টুর্নামেন্টের ফাইনালে ম্যাচ উইনিং নক খেলেছেন। সেই স্টোকস ইংল্যান্ডের ওয়ানডে দলে নেই গত এক বছর। তবু ২০২৩ বিশ্বকাপে স্টোকসের খেলা নিয়ে এখনও আশাবাদী ইংল্যান্ড।
দক্ষিণ আফ্রিকা গত বছরের জুলাইয়ে যায় ইংল্যান্ড সফরে। ১৯ জুলাই চেস্টার লি স্ট্রিটে প্রথম ওয়ানডে ম্যাচের পর এই সংস্করণ থেকে অবসর নেন স্টোকস। ওয়ানডেকে বিদায় জানালেও টেস্ট, টি-টোয়েন্টি সংস্করণে নিয়মিত খেলে যাচ্ছেন তিনি। ওয়ানডে ছাড়ার পর বাকি দুই সংস্করণ মিলে খেলেছেন ২৩ ম্যাচ। ৩৬.২৯ গড়ে করেছেন ৯৮০ রান। ২ সেঞ্চুরি ও ৩ ফিফটি করেছেন। বোলিংয়ে নিয়েছেন ২২ উইকেট। তাঁর নেতৃত্বে ইংল্যান্ড এই সময়ে ১৪ টেস্ট খেলে জিতেছে ৯ ম্যাচ।
দুর্দান্ত ছন্দে থাকা স্টোকস অবসর ভেঙে বিশ্বকাপে ফিরবেন, সেই আশা করছেন ইংল্যান্ডের সাদা বলের কোচ ম্যাথ্যু মট। তাঁরা চেষ্টাও করে যাচ্ছেন। ডেইলি মেইলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মট বলেন, ‘সে কী করবে তা এখনো জানা যায়নি। তবে আমরা এখনো আশাবাদী। আমি সব সময় বলেছি যে তার বোলিংটা বোনাস। শুধু দেখুন সে ব্যাটিংয়ে কেমন করেছে, এমনকি ফিল্ডিংয়েও। জস সম্ভবত তার সঙ্গে যোগাযোগ করবে। তবে বেন সোজাসাপটা বলে দিয়েছে। দেখি এখন সে আগ্রহী হয় কি না।’
৩১ জুলাই লন্ডনের ওভালে শেষ হয়েছে এবারের অ্যাশেজ। অ্যাশেজে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া দুই দলই দুটো করে ম্যাচ জিতেছে। আর এক ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হয়েছে। এবারের অ্যাশেজে ৪৫ গড়ে করেছেন ৪০৫ রান, বোলিংয়ে নিয়েছেন ৩ উইকেট। লর্ডসে ১৫৫ রানের ঝোড়ো এক ইনিংস খেলেছেন। অ্যাশেজে তাঁর (স্টোকস) দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন মট, ‘পুরো অ্যাশেজে তাকে দেখে বুঝলাম, তার উপস্থিতি বেশ কার্যকরী। ওয়ানডে ক্রিকেটেও এটা সে বছরের পর বছর করে আসছে। সে দারুণ এক ক্রিকেটার।’
অবশ্য গত কয়েক মাস চোটে ভুগছেন স্টোকস। এবারের আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসে ডাক পেলেও চোটে পুরো টুর্নামেন্ট খেলা হয়নি। খেলতে পেরেছেন দুই ম্যাচ। আর অলরাউন্ডার স্টোকসের চেয়ে দেখা যাচ্ছে ব্যাটার স্টোকসকেই বেশি দেখা যাচ্ছে ইদানীং। ওয়ানডে ছাড়ার পর থেকে ২১ ইনিংসে বোলিং করেছেন ১৪৫.২ ওভার।