জোড়া সেঞ্চুরি করেও শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের হার দেখতে হলো দুই ব্যাটার সাইফ হাসান ও তাইবুর রহমানকে। সুপার লিগের প্রথম ম্যাচে দুই সেঞ্চুরিয়ানকে এমন হতাশা ‘উপহার’ দিয়েছেন মাহীদুল ইসলাম অঙ্কন।
ফতুল্লায় অঙ্কনের সেঞ্চুরিতেই শেখ জামালের দুই সেঞ্চুরিয়ানের দুর্দান্ত পারফরম্যান্স ম্লান হয়েছে। তাঁর সেঞ্চুরি এবং মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অপরাজিত ফিফটিতে ৫ উইকেটের জয় পেয়েছে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। ২৬০ রানের লক্ষ্যে অবশ্য শুরুটা ভালো ছিল না মোহামেডানের। দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয় ইমরুল কায়েসকে। ১৫ রানে শিপন মন্ডলের শিকার হন মোহামেডানের অধিনায়ক। পরে আরও ২ উইকেট হারিয়ে একটা সময় ৬৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল তারা।
সেখান থেকে চতুর্থ উইকেটে দুর্দান্ত এক জুটি গড়েন অঙ্কন-মাহমুদউল্লাহ। তাঁদের ১৭৯ রানের জুটিতেই মূলত জয়ের লক্ষ্যেও পৌঁছে যায় মোহামেডান। দুর্দান্ত এই জুটি গড়ার পথে ১০১ রান করে আউট হন অঙ্কন। ইনিংসটি সাজিয়েছেন ৬ ছক্কা এবং ৫ চারে। সতীর্থ ফিরলেও বাংলাদেশের অভিজ্ঞ ব্যাটার মাহমুদউল্লাহ জয় নিয়েই মাঠ ছেড়েছেন। অপরাজিত ৮৭ রানের ইনিংসটি সাজিয়েছেন সমান ৩টি করে চার ও ছক্কায়। ২ বল বাকি থাকতে বাউন্ডারি মেরে জয় এনে দেওয়া আরিফুল হক অপরাজিত থাকেন ৪ রানে।
এর আগে প্রথমে ব্যাট করে দুই সেঞ্চুরিতে ২ উইকেটে ২৫৯ রান করে শেখ জামাল। ১২০ রানে রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ ছাড়েন সাইফ হাসান। তাঁর ইনিংসে ছিল ৬ ছক্কা এবং ৭ চার। আরেক অপরাজিত সেঞ্চুরিয়ান তাইবুর করেছেন ১০২ রান। ৩ ছক্কা ও ৭ চারে ইনিংসটি সাজিয়েছেন তিনি।
বোলাররা নিজেদের কাজটা দুর্দান্ত করলেও ব্যাটারদের ব্যর্থতার কারণে জয় পাওয়া হয়নি গাজী গ্রুপের। ৩০০ বলে ১৩৯ রানের লক্ষ্য নেমে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট তারা। তাদের আসলে জয়টা পেতে দেননি লেগ স্পিনার রিশাদ। তাঁর ঘূর্ণিতেই গাজীর টপ অর্ডার ধসে যায়। ৩১ রানে ৪ উইকেট নিয়ে শাইনপুকুরের সেরা বোলার তিনি। ম্যাচ শেষে অবধারিতভাবে ম্যাচসেরার পুরস্কারও পেয়েছেন ২১ বছর বয়সী উদীয়মান স্পিনার। তাঁকে অবশ্য যোগ্য সঙ্গ দিয়েছেন গাজীর দুই ওপেনারকে ফেরানো আরেক স্পিনার আরাফাত সানি। ৪৫ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন বাঁহাতি স্পিনার। গাজীর হয়ে সর্বোচ্চ ৪৪ রান করেছেন নিজের সবশেষ ম্যাচ সেঞ্চুরি করা হাবিবুর রহমান সোহান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৭৮ রান করে প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। শরিফুল ইসলাম ও তাসকিন আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৫ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে প্রাইম ব্যাংক। চতুর্থ উইকেটে ১১২ রানের জুটি গড়ে জাকির হাসান (৬৮) এবং মুশফিকুর রহিম (৪৪) সেই ধাক্কা সামলে নিলেও দুজন আউট হওয়ার পর প্রাইম ব্যাংক ১৭৮ রানে অলআউট হয়ে যায়। ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ম্যাচের সেরা বোলার শরিফুলই হয়েছেন ম্যাচসেরা।