হোম > রাজনীতি

ঋণ শোধ করব কী, সুদই দিতে পারছি না: মান্না 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ডলারের মূল্যবৃদ্ধি দেশ ও দেশের মানুষের অর্থনৈতিক অবস্থাকে নতুন করে সংকটে ফেলবে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। রিজার্ভের তুলনায় প্রায় পাঁচ গুণ বেশি বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘ঋণ শোধ করব কী, ঋণের সুদই দিতে পারছি না।’ 

আজ শনিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে ‘অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং কর্তৃত্ববাদী শাসন’ শীর্ষক এক সেমিনারে এ কথা বলেন তিনি। নাগরিক ঐক্য এই সেমিনারের আয়োজন করে। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাকিব আনোয়ার। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল ও মানবাধিকার সংগঠক নূর খান লিটন। 

সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থার জন্য সরকারকে দায়ী করে মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘নির্বাচনের আগে ৪৪ বিলিয়ন রিজার্ভ ছিল। আমরা বলেছিলাম বেশি দিন থাকবে না। এখন সরকারি হিসাবে ২০ বিলিয়নের কিছু বেশি। আর ঋণের পরিমাণ ১০০ বিলিয়নের ওপরে। ঋণ শোধ করব কী, ঋণের সুদই দিতে পারছি না।’ 

নতুন করে ডলারের মূল্য নির্ধারণ আমদানির ক্ষেত্রে নতুন সংকট তৈরি করবে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির পেছনে সিন্ডিকেট যেমন দায়ী, তেমনি সরকারও দায়ী। কয়েক দিন পর পেঁয়াজ আমদানিরও টাকা থাকবে না।’ 

দেশের ৬ কোটি মানুষ অর্থনৈতিক ও সামাজিক নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে জানিয়ে ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সমালোচনা করে মান্না বলেন, ‘৭টা কোম্পানি দেশে চিনি আমদানি করে। ৭ কোম্পানির মালিক বসে দাম বাড়িয়ে দিলে, কারও কিছু করার নেই। ডাল, পেঁয়াজ, তেল, আটা সব আমদানির ক্ষেত্রেই একই অবস্থা।’ 

দেশের জনগণ সরকারের পাশে নেই, উপজেলা নির্বাচনে তা আবারও প্রমাণ হয়েছে বলে দাবি করেন মান্না। তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি চলে গেলে কে আসবে? কেন? বঙ্গবন্ধু, জিয়াউর রহমান, এরশাদ যাওয়ার পর কেউ আসেনি? জায়গা কখনো খালি থাকে না।’ 

সেমিনারে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনা যা ছিল, তার সবই এই সরকার নষ্ট করেছে। সংসদে এসব বিষয়ে বলার কেউ নেই। সংসদের বাইরে বলতে গেলে তার টুঁটি চেপে ধরা হয়। যে সরকারই অন্যায় কাজ করুক, আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে তার প্রতিবাদ করতে হবে। কথা বলা বন্ধ করলে আরও অত্যাচার সহ্য করতে হবে।’ 

মানবাধিকার সংগঠক নূর খান লিটন বলেন, ‘যেখানে গণতন্ত্র থাকে না, সেখানে মানবাধিকারও নিয়ন্ত্রিত হয়। কর্তৃত্ববাদী শাসনের কারণে দেশে মানবাধিকার সংকুচিত হচ্ছে। অবৈধ ক্ষমতা জারি রাখতে গুম-খুন অব্যাহত রাখা হয়েছে।’

নির্বাচন বানচাল ও গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং: নাহিদ ইসলাম

নির্বাচন বানচাল ও গণ-অভ্যুত্থানকে নস্যাৎ করতেই টার্গেট কিলিং: নাহিদ ইসলাম

স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সিঙ্গাপুরে গেলেন বিএনপি নেতা মোশাররফ

সুদানে ৬ সেনা নিহতের ঘটনায় তারেক রহমানের শোক

হাদির ইনকিলাব কালচারাল সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

এআই দিয়ে তৈরি ছবি বুঝতে না পারায় দুঃখ প্রকাশ করলেন রিজভী

যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী ও মহান বিজয় দিবস পালনের আহ্বান জামায়াত আমিরের

নির্বাচন অত সহজ হবে না–আমার কথাই সত্যি হচ্ছে: তারেক রহমান

হাদির ওপর হামলায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চায় জামায়াত

বক্তব্যে ভুয়া ছবির উল্লেখ করায় রিজভীকে ক্ষমা চাইতে বললেন ডাকসু ভিপি সাদিক