মুক্তিযুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা এ টি এম আজহারুলের খালাসের পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ও চট্টগ্রামে গণতান্ত্রিক ছাত্রজোটের বিক্ষোভ মিছিলে হামলা করে ইসলামী ছাত্রশিবির। এই হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট।
‘রাষ্ট্রীয় মদদে নব্য ফ্যাসিবাদী তৎপরতা রুখে দাঁড়াও’ স্লোগান প্রতিপাদ্য করে আজ ৩০ মে (শুক্রবার) বিকেল ৫টায় রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে এ বিক্ষোভ সমাবেশ হয়।
উক্ত সমাবেশ সঞ্চালনা করে গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিল ঢাবি শাখার সংগঠক তাহমিদ হোসেন। আরও উপস্থিত ছিলেন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মাঈন আহমেদ, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর ঢাবি শাখার সভাপতি নাজিয়া হোসাইন রাশা, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক মোজাম্মেল হক, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক সাজিদুল ইসলাম ও ঢাবি ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক আরমানুল হক।
ছাত্র কাউন্সিল নেতা তাহমিদ হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন হল এবং ডিপার্টমেন্ট থেকে শিবিরের এই ন্যক্কারজনক হামলার প্রতিবাদস্বরূপ বিবৃতি দিয়েছে। তারা শিবিরের এই সন্ত্রাসী হামলাকে ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাই জামায়াত-শিবির আওয়ামী লীগের মতোই একটা পরাজিত শক্তি।
ছাত্র ফেডারেশনের আহ্বায়ক আরমানুল হক বলেন, ‘আওয়ামী আমলের বিচারব্যবস্থাকে আমরা প্রহসনের বিচার বলতাম। ইন্টেরিম সরকারের সময়ে এসে সেই বিচার একই কায়দায় নাটকীয় বিচারে রূপ নিয়েছে। জামায়াত এই বিচারিক প্রক্রিয়ার মধ্যে সংখ্যাধিক প্রতিনিধি ঢুকিয়ে এই বিচারপ্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে। এ টি এম আজহারুলের মুক্তির পর বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন বিশেষত গণতান্ত্রিক ছাত্রজোট এর প্রতিবাদ জানায়। এই প্রতিবাদ মিছিলে শাহবাগবিরোধী ঐক্যের ব্যানারে হামলা করা হয়।’
শিবিরের মদদে ৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন সংগঠন বিভিন্ন স্থানে হামলা চালিয়ে আসছে দাবি করে আরমানুল হক বলেন, ‘৫ আগস্টের পর থেকে বিভিন্ন নামে অনেকগুলো সংগঠন বিভিন্ন জায়গায় হামলা চালিয়ে আসছে। আর আগে স্টুডেন্ট ফর সভরেনটির ব্যানারে আদিবাসী শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালানো হয়, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদ নামে শহীদ মিনারে গণঅধিকারের ওপর হামলা চালানো হয়। এসব সংগঠনের সঙ্গে শিবিরের সংশ্লিষ্টতা আছে, তা আমরা আগেই ধারণা করেছি। এখন সবার কাছে প্রমাণিত হয়েছে যে এসব সংগঠনের পেছনে রয়েছে শিবিরের প্রত্যক্ষ মদদ।’