আমার বাংলাদেশ পার্টির (এবি) চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘আমরা কিন্তু একটু শঙ্কিত ছিলাম। কারণ, আমাদের কাছে নানা রকম তথ্য ছিল, আমরা শুনেছি যে, হঠাৎ করে এই জুলাই সনদ স্বাক্ষরের জন্য একটা শঙ্কা তৈরি হয়েছিল, এর ভিত্তিতে আজকে এই মিটিংটা হয়েছে। পরে আমরা দেখলাম যে, না, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা শুধু আমাদের একটা ধন্যবাদ দিতে চেয়েছিলেন। আমরা উনাকে আলাদা করে ধন্যবাদ দিয়েছি।’
আজ বুধবার (১৫ অক্টোবর) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভা থেকে বের হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
মজিবুর রহমান মঞ্জু বলেন, ‘তবে সেখানে আমরা যেটা দেখলাম যে, ম্যাক্সিমাম সবাই আমরা সনদ স্বাক্ষরের ব্যাপারটার ব্যাপারে পজিটিভ কথা বলেছি। কিন্তু এখনো দেখা যাচ্ছে যে, জুলাই সনদ বাস্তবায়নের বিশেষ করে গণভোট কখন হবে, না হবে—এটা নিয়ে এখনো কিছুটা অস্পষ্টতা রয়েছে।’
মজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি এবি পার্টির পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টাকে বলেছি, আমাদের আলোচনার চ্যাপ্টারটা শেষ। আপনি সবার পক্ষ থেকে একটা সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন এবং আপনি সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিলে আশা করি দেশের মানুষ সেটাকে গ্রহণ করবে। আমরা এখনো আশা করি, শেষ মুহূর্তে সবাই স্বাক্ষর করবে এবং যে সমস্ত নোট অব ডিসেন্ট আছে, আমরা অনুরোধ জানিয়েছি, এই নোট অব ডিসেন্টগুলো যাতে একটু কমিয়ে আনা যায়। সম্ভব হলে প্রত্যাহার করা যায় এবং গণভোটের বিষয়টা নিয়ে যে অস্পষ্টতা আছে, সেটাও যাতে কেটে যায়। আমাদের কারও হয়তো কিছু মত থাকবে, কারও হয়তো কিছু ভিন্নমত হতে পারে, তারপরেও আমরা চাই যে, এই জুলাই জাতীয় সনদটা সুন্দরভাবে বাস্তবায়ন হোক। আগামী নির্বাচনটা সুন্দরভাবে হোক এবং এই আমাদের যে দোদুল্যমানতা আছে, সেটা কেটে যাক।’
মঞ্জু আরও বলেন, ‘আমরা স্বাক্ষর করব বলেছি, মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, অত্যন্ত আনন্দঘন পরিবেশে এইটা হবে।’