বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের নিয়মিত ফ্লাইটে নয়, কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সেই বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান তিনি।
গত ৮ জানুয়ারি কাতারের আমিরের পাঠানো বিশেষ এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে চিকিৎসার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। গতকাল শুক্রবার বিএনপির চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার গণমাধ্যমকে জানান, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি রেগুলার (নিয়মিত) ফ্লাইটে চড়ে দেশে ফিরবেন তিনি। আগামীকাল ৪ মে স্থানীয় সময় সন্ধ্যা ৬টায় লন্ডনের হিথরো বিমানবন্দর থেকে খালেদা জিয়াকে বহনকারী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ফ্লাইটটি উড্ডয়নের কথা রয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামী ৫ তারিখে (৫ মে) দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া একটি বিশেষ বিমানে, সম্ভবত আমরা যেটা আশা করছিলাম, যে বিমানে তিনি গেছেন, কাতারের রয়্যাল অ্যাম্বুলেন্স, সেই অ্যাম্বুলেন্সেই তিনি আবার দেশে ফিরে আসবেন। সময়টা আমরা নিশ্চিত করে বলতে পারছি না। কারণ, এই সময়টা বিভিন্ন বিষয়ের ওপর নির্ভর করবে। যদি আজকে রাতের (শনিবার) মধ্যে আমরা নিশ্চিত হই, যখনই আমরা নিশ্চিত হব, সেটা আমরা জানিয়ে দেব।’
প্রস্তুতির কথা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘নেত্রী ফিরে আসবেন। স্বাভাবিকভাবেই আমাদের মধ্যে প্রচণ্ড আবেগ আছে। প্রতিটি দেশপ্রেমিক মানুষ আজকে উৎসাহিত, উজ্জীবিত যে তাঁদের প্রিয় নেত্রী দেশে ফিরে আসবেন। তাঁকে যথাযথ অভ্যর্থনা জানানো, এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। শুধু বিএনপি নয়, সারা দেশের মানুষ আজকে তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত হয়ে আছে। এ নিয়ে আমরা যৌথ সভা করেছি। জনগণ যাতে তাঁদের নেত্রীকে শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে অভ্যর্থনা জানাতে পারেন, আমরা সেই ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি।’
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার কথা জানিয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আগের চাইতে তিনি এখন অনেক সুস্থতা বোধ করছেন। সে কারণেই তিনি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন, তিনি দেশে ফিরে আসবেন।’