হোম > রাজনীতি

একতরফা নির্বাচন দেশকে কূটনৈতিক সংকটের মধ্যে ফেলবে: সাকি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশের পোশাক খাতসহ সব রপ্তানি খাত বিপর্যয়ের মুখে পড়বে। একই সঙ্গে দেশ কূটনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়বে বলেও জানিয়েছেন গণতন্ত্র মঞ্চের অন্যতম নেতা ও গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে হরতালের সমর্থনে গণতন্ত্র মঞ্চ আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলের পর সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।

জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘আমরা বারবার বলেছি, একতরফা নির্বাচন দেশের রাজনৈতিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করবে, বিপর্যস্ত করবে। দেশকে বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দেবে। আমরা একতরফা নির্বাচন করলে একটা কূটনৈতিক সংকটের মধ্যে পড়ব।’

সাকি বলেন, ‘গতকাল বা পরশু বাংলাদেশের যে দূতাবাস আছে ওয়াশিংটনে, সেখানকার বাণিজ্য মিনিস্টার সরকারের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কাছে চিঠি পাঠিয়েছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, আমেরিকার যে নতুন শ্রম অধিকারবিষয়ক নীতিমালা, সেটাকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। এই নীতিমালার আওতায় বাংলাদেশের গার্মেন্টস শিল্প থেকে শুরু করে আমাদের রপ্তানি খাত নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞার মধ্যে পড়তে পারে।’

কেবল এই নির্বাচন বয়কট নয়, গণপ্রতিরোধের মাধ্যমে এই সরকারকে ক্ষমতা থেকে নামিয়ে একটা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন অনুষ্ঠিত করতে হবে জানিয়ে সাকি বলেন, ‘বাংলাদেশের লাখ লাখ শ্রমিক এই রপ্তানি খাত গড়ে তুলেছেন। উদ্যোক্তারা নানা পরিশ্রমের মধ্য দিয়ে শিল্প গড়ে তুলেছেন। আর এই সরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য বাংলাদেশের সমস্ত কলকারখানা, মানুষের পেটে লাথি মারার চিন্তা করছে। বাংলাদেশের বাজারকে হুমকির মধ্যে ফেলছে। সুতরাং আগামী নির্বাচন শুধু শেখ হাসিনার ক্ষমতার নবায়ন নয়, বাংলাদেশকে ধ্বংস করার লাইসেন্স।’

দেশের মানুষকে রাজপথে নামার আহ্বান জানিয়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষকে তাঁরা বোকা ভাবেন, বিদেশিদেরও তাঁরা বোকা ভাবতে শুরু করেছেন। তাঁরা ভেবেছেন, এভাবে সবার চোখে ধুলো দেওয়া যাবে। বাংলাদেশের সব মানুষ জানে, এমনকি যারা আওয়ামী লীগ করে, তারাও জানে যে এই সরকার দেশের মানুষের সঙ্গে সর্বোচ্চ প্রতারণা করছে। বাংলাদেশের মানুষকে রাজপথে নামতে হবে। ওই যে গুন্ডাপান্ডা কয়েকটা আছে, তাদের ধাওয়া দিতে হবে।’

বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘রাজপথের সব বিরোধী দল এই নির্বাচনকে প্রত্যাখ্যান করছে, বর্জন করেছে। জনগণ এই সাজানো নির্বাচন প্রতিরোধের ডাক দিয়েছে। সরকার গোয়েন্দা সংস্থাগুলো দিয়ে অনেক চেষ্টা করেছে বিভিন্ন চাপ-হুমকি-প্রলোভনের মধ্য দিয়ে বিভিন্ন লোককে নির্বাচনে যুক্ত করার জন্য। কিন্তু রাজনৈতিক দল ও জনগণের সব অংশ—কেউ আজ সরকারের সাজানো ফাঁদে পা দেয়নি। এটা সরকারের বড় রাজনৈতিক পরাজয়।’

সাইফুল হক আরও বলেন, ‘সরকার বুঝতে পেরেছে, ’১৪ বা ’১৮ সালের মতো আরেকটা সাজানো নির্বাচন করে শেষ রক্ষা করতে পারবে না। নৌকা নাকি ডুবতে শুরু করেছে, তলা নাকি ফুটো হয়ে গেছে। নৌকায় যখন পানি ওঠা শুরু করে, তখন কোনো সচেতন মানুষ ডুবন্ত নৌকায় উঠতে চায় না।’

ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন প্রমুখ।

তারেকের প্রত্যাবর্তন: ফেরার ঘোষণায় ব্যাপক উৎসাহ, লন্ডন-ঢাকা ফ্লাইটের টিকিট শেষ

‘সেপারেটিস্টদের’ আশ্রয়–প্রশ্রয় দিয়ে ভারত থেকে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব: হাসনাত

আল-বদর ও আল-শামস নয়, বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করেছে পার্শ্ববর্তী দেশ— জামায়াতের বুলি বিএনপি নেতার মুখে

একটা লাশ পড়লে আমরাও কিন্তু লাশ নেব, অত সুশীলতা করে লাভ নেই: মাহফুজ আলম

২৪ শুধু ইতিহাসের অংশ নয়, এটি আমাদের কলিজার অংশ: জামায়াত আমির

অথর্ব কমিশনের অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব না: নাহিদ ইসলাম

নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হলেও সতর্ক থাকতে হবে, ষড়যন্ত্র থেমে নেই: তারেক রহমান

প্রার্থীদের বন্দুকের লাইসেন্স দিলে ‘আফ্রিকান সিনড্রোম’ দেখা দেবে: সাইফুল হক

ক্ষমতায় গেলে আমরা জুলাই যোদ্ধাদের নিরাপত্তা দেব: মির্জা ফখরুল

জাতীয় সংসদ নির্বাচন: আসিফ-মাহফুজকে ঘিরে এনসিপিতে নতুন সমীকরণ