দেশে কোনো যুবক বেকার থাকবে না এবং কাউকে বেকার ভাতাও নিতে হবে না—এমন কর্মসংস্থানমুখী রাষ্ট্র গড়ার অঙ্গীকার করেছেন জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান। তিনি জানিয়েছেন, যুবকেরা কারও কাছ থেকে বেকার ভাতা নেবেন, এটি তাঁরা দেখতে চান না। বেকার ভাতার পরিবর্তে প্রত্যেক যুবকের হাতে কাজ তুলে দিতে চান তাঁরা।
আজ শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সদস্য সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা চাই, বাংলাদেশে আর একজন যুবক-যুবতীও বেকার থাকবে না। অনেকে সংখ্যা গুনে বলছেন, ‘‘আমরা এত কোটি, এত লাখ যুবককে কর্মসংস্থান দেব।’’ বাকিদের কী হবে? বলছেন, ‘‘বাকিদের ভাতা দেবেন।’’ যুবকেরা কারও কাছ থেকে বেকার ভাতা গ্রহণ করুক, তা আমরা দেখতেও চাই না, শুনতেও চাই না।’
জামায়াত আমির আরও বলেন, ‘আমরা প্রত্যেক যুবকের হাতকে দেশ গড়ার কারিগরের হাতে পরিণত করতে চাই, প্রতিটি হাতে কাজ তুলে দিতে চাই। বেকার ভাতা নয়, বেকার ভাতার পরিবর্তে তারাই দেশে সকল ক্ষেত্রে বিপ্লব সাধন করবে, সেই বিপ্লবের বাণী তাদের মুখে পৌঁছে দিতে চাই। শক্তি তাদের বুকে তুলে দিতে চাই আর তাদের হাতে কাজ তুলে দিতে চাই।’
আজকের বাংলাদেশ পেতে ৪৭ থেকে ২৪ পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে মন্তব্য করে জামায়াত আমির বলেন, ‘অনেককে জীবন দিতে হয়েছে। আমরা তাদের কাছে ঋণী। দুঃখের বিষয়, বিগত সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মিনি ক্যান্টনমেন্ট ছিল। ছাত্রদের হাত থেকে কলম কেড়ে অস্ত্র তুলে দেওয়া হয়েছিল। সেই কালোহাত বিদায় নিয়েছে। কালোছায়া এখনো আছে। তার বিরুদ্ধে ছাত্রদের ভূমিকা রাখতে হবে।’
সব ধর্ম ও দলকে মিলে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, দুর্নীতিমুক্ত বৈষম্যহীন ইনসাফভিত্তিক বাংলাদেশ গড়ে তুলতে হবে।
শফিকুর রহমান আরও বলেন, ‘ছাত্রসমাজের কাঁধে শহীদদের রক্তের ঋণ এবং ১৮ কোটি মানুষের প্রত্যাশার বোঝা রয়েছে। এই বোঝা বহনের শক্তি আল্লাহ তোমাদের দান করুন। ইনশা আল্লাহ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ইনসাফ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে একদিন বাংলাদেশেও ইনসাফের বিজয় হবে।’
ছাত্রশিবিরের উদ্দেশে শফিকুর রহমান বলেন, ‘শিবিরের কাছ থেকে মানুষ হতাশ হলে মানুষের যাওয়ার কোনো রাস্তা থাকবে না। আর কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে আমরা শিক্ষকদের লাঞ্ছিত হতে দেখতে চাই না। আগামী দিনে ইনসাফের বিজয় হবে। আজ বাংলাদেশে ইনসাফের বড় অভাব। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ গড়তে চাই।’